সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, টানা দু’সপ্তাহের লকডাউন জারি এই রাজ্যে

0
432

খাস খবর ডেস্ক: করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে ইতিমধ্যেই লকডাউনের পথে হেঁটেছে দিল্লি, কেরল সহ একাধিক রাজ্য। পাশাপাশি আংশিক লকডাউন জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ। দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকে কার্ফু চালু করা হয়েছিল আগেই। তবে তাতেও সংক্রমণ না কমায় গতকালই ১০ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে কর্ণাটক সরকার। সংক্রমণ ক্রমাগত বেড়ে চলায় এবার লকডাউন ঘোষণা করল তামিলনাড়ু সরকার। ১০ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত টানা ১৪ দিন লকডাউন কার্যকর থাকবে তামিলনাড়ুতে।

লকডাউন চলাকালীন দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মুদিখানা, সবজির দোকান এবং মাংসের দোকান। লকডাউন চলাকালীন রাজ্যের সমস্ত হোটেল, রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া বন্ধ থাকবে। তবে হোটেল-রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার নিয়ে বাড়িতে গিয়ে খাওয়া যাবে। রাজ্যজুড়ে সরকার নিয়ন্ত্রিত মদের দোকানও বন্ধ থাকবে। তবে পেট্রোল পাম্প খোলা থাকবে। জরুরি পরিষেবা ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রের কাজ বাড়ি থেকেই করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান খোলা থাকলেও যানচলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।

- Advertisement -

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ শুরুতে ৮-৯ রাজ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে আরও কয়েকটি রাজ্যে বেড়েছে সংক্রমণ। ১৮-১৯টি রাজ্যে এখন উল্লেখযোগ্য সংক্রমণ হচ্ছে৷ মহারাষ্ট্র সবার শীর্ষে৷ তারপর রয়েছে দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, কেরল৷ সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে তাই একাধিক রাজ্য নাইট কার্ফু, জনতা কার্ফু ও সাময়িক লকডাউন ঘোষণা করেছে৷ এদিকে টিকাকরণের (Vaccination) মধ্যেও ভারতে (India) রকেটের গতিতে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ গত ২৪ ঘণ্টায় এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ।

উল্লেখ্য, গতকালই লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছে কর্ণাটক। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন, করোনা কার্ফু জারি করেও সংক্রমণে রাশ টানা যায়নি। রাজ্যজুড়ে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সে কারণেই টানা দু’সপ্তাহের লকডাউনের পথে হাঁটতে চলেছে সরকার। ১০ মে সকাল ৬টা থেকে ২৪ মে সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে টোটাল লকডাউন জারি থাকবে। লকডাউন চলাকালীন রাজ্যের সমস্ত হোটেল, পাব, বার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। মুদিখানা, সবজির দোকান এবং মাংসের দোকান কেবলমাত্র সকাল ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।