বিচার বিভাগে মহিলাদের ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির

মেয়েদের আদালতে ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষেই যে CJI রয়েছে তা আগেই দেখা গিয়েছে। শীর্ষ আদালতের বিচারক হিসেবে নিয়োগের জন্য ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রামনার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম কর্তৃক সুপারিশকৃত নয়টি নাম সরকার অনুমোদন করেছিল। যার মধ্যে তিন জন মহিলাও রয়েছেন।

0
129

নয়াদিল্লি: মেয়েরা যে কোনও কিছুতেই আর পিছিয়ে নেই সেই কথা এখন এক বাক্যে সকলেই মানেন। নারী যেমন নিখুঁত ভাবে সংসার সামলাতে পারে, সকলকে ভালোবাসায় বেঁধে রাখতে পারে তেমনি বজ্রের ন্যায় কঠিন হতেও পারে। স্থল, জল আকশ সমস্ত ক্ষেত্রেই যে মেয়েরা পারদর্শী তার প্রমাণও রয়েছে ভুরি ভুরি। কয়েদিন আগেই জানা গিয়েছিল ভারত পেতে চলছে দেশের প্রথম মহিলা বিচারপতি। এবার ভারতের প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) এনভি রামানা বিচার বিভাগের সকল স্তরে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিচার বিভাগেও কোনও অংশে পুরুষদের থেকে পিছিয়ে নেই মহিলারা। নরম যেমন হয় নারী মন প্রয়োজনে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার রায় দিতে একবারও হাতে কাঁপে না তাঁদের। সমাজ বদলাচ্ছে তাই সমস্ত ক্ষেত্রেই নারীদের পুরুষদের সমান অধিকারের কথাই বলছেন বেশিভাগ মানুষই। ভারতের প্রধান বিচারপতিও তাঁদের মধ্যে একজন। বিচার বিভাগের সকল স্তরে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি দেশের সব আইন কলেজগুলিতেও (law colleges) সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন CJI এনভি রামানা। রবিবার কাউন্সিল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত নয়জন নতুন বিচারপতির সম্মানে তিনি বক্তব্য রাখার সময়ে এই মন্তব্য করেছেন।

- Advertisement -

আরও পড়ুন- অনলাইনে শিক্ষকের তথ্য সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট হ্যাক, চাঞ্চল্য সোদপুরে 

প্রধান বিচারপতি বলেছেন, হাজার হাজার বছরের নিপীড়নের পর বিচার বিভাগে নারীদের ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ প্রয়োজন। তিনি বলেন, নিম্ন স্তরে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব ৩০ শতাংশের নিচে ছিল। উচ্চ আদালতে এবং সুপ্রিম কোর্টে, এটি ছিল প্রায় ১১-১২ শতাংশ। সুপ্রিম কোর্টের মহিলা আইনজীবীদের উদ্দেশে সিজেআই বলেন, “দেশের সব আইন স্কুলে কিছু শতাংশ সংরক্ষণের দাবিকে সমর্থন করার জোরালো সুপারিশ করা দরকার। এটা নারীর অধিকার। এবং তাঁরা এটা পাওয়ার যোগ্য।”

মেয়েদের আদালতে ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষেই যে CJI রয়েছে তা আগেই দেখা গিয়েছে। শীর্ষ আদালতের বিচারক হিসেবে নিয়োগের জন্য ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রামনার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম কর্তৃক সুপারিশকৃত নয়টি নাম সরকার অনুমোদন করেছিল। যার মধ্যে তিন জন মহিলাও রয়েছেন। বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন (BV Nagarathna) ভারতের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হতে পারেন বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। বিচারপতি নাগরত্ন ২০০৮ সালে কর্ণাটক হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক এবং প্রায় দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০২৭ সালে বিভি নাগরত্ন (BV Nagarathna) ভারতের প্রথম প্রধান বিচারপতি হলে ফের আরও একবার নারীশক্তির জয় হবে। ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদেও বলেছিলেন যে “ভারতের মহিলা প্রধান বিচারপতি হওয়ার সময় এসেছে”।

আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা: মৃত বিজেপি কর্মীর দাদার বয়ান নিল সিবিআই

উল্লেখ্য, করোনার জেরেই বন্ধ রয়েছে আদালতে সশরীরে বিচারের কাজ। এই প্রসঙ্গে সিজেআই জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট আদালত কক্ষে সরাসরি শুনানি পুনরায় শুরু করার সম্ভাবনা বিবেচনা করছে। সুপ্রিম কোর্ট আদালত কক্ষে আইনজীবীদের প্রবেশের জন্য এসওপি সংশোধনের কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এনভি রামানা বলেছেন, আদালত আইনজীবীদের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি চিন্তিত এবং করোনা মহামারী সম্পর্কিত চিকিৎসা নির্দেশিকাগুলির উপর নজর রাখছে।