‘ভারতে হিজাব পরিহিত প্রধানমন্ত্রী চাই’ ওয়াইসির মন্তব্যের পাল্টা এই জোরাল জবাব দিল বিজেপি

0
25

নয়াদিল্লি: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক মঙ্গলবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে তাঁকে নিয়েই চর্চা চলছে। বিশেষ করে ভারতে প্রভাব পড়েছে। পাশ্চাত্য দেশে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বা সংখ্যালখুদেড় শীর্ষ পদে বসানোর ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছে বিরোধী দলগুলি। সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় ভারতে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক তরজা। ভারতেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাউকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখতে চান বলে মন্তব্য করেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল (AIMIM)-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। সেই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি।

খ্রিষ্টান অধ্যুষিত ব্রিটেনের শাসনক্ষমতা একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি হাতে নেওয়ার পরেই ওয়াইসি বলেছেন তিনিও একজন মুসলিম হিজাব পরিহিত মহিলাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান। ওয়াইসি বিজেপিকে নিশানা করে বলেছিলেন, “বিজেপি ধর্মনিরপেক্ষতা নির্মূল করতে চায় এবং দেশের সকলের জন্য সমান সুযোগ চায়।” সেই মন্তব্যের পাল্টা জবাবে বিজেপি বলেছে ‘আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে’। অর্থাৎ কোনাও উপদেশ অন্যকে দেওয়ার আগে নিজেকে তা পালন করতে হবে। উপদেশ দেওয়া আর উপদেশ পালন করা এক কথা নয়। এই কথা বলেই বিজেপি ওয়াইসি লক্ষ্য করে বলেছে তাঁর দলের এমন কোনও হিজাব পরিহিতা মহিলা নেই যিনি শীর্ষ পদে রয়েছে। বিজেপির নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেছেন, “ওওয়াইসি জি আশা করেন যে একজন হিজাব পরা মেয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন! ঠিক আছে, সংবিধান কাউকে বাধা দেয় না তবে হিজাব পরা মেয়ে কখন AIMIM-এর সভাপতি হতে পারবে তা আমাদের বলুন।  আমারা এটা দিয়েই শুরু করতে পারি?।” বিজেপি নেতাও টুইট করেছেন বলেছেন, “আগে ঘর তারপর পর” (charity begins at home)। তবে মঙ্গলবার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমও বলেছিলেন, পাশ্চাত্য দেশগুলির থেকে ভারতের শিক্ষা নেওয়া উচিত।

- Advertisement -

এখানেই শেষ নয় বিজেপিকে লক্ষ্য করে ওয়াইসি আরও বলেছিলেন গেরুয়া দল হালাল মাংস এবং মুসলমানদের জীবনধারার অন্যান্য দিকগুলির বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি মুসলিম পরিচয়ের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ সবকা বিশ্বাস’ এই স্লোগান কেবল মুখে বলা হয় বলেই দাবি করেছেন। AIMIM প্রধানের কথায়, বিজেপির এজেন্ডা দেশের বহুত্ববাদকে হত্যা করছে। ক্ষোভ উগড়ে বলেছেন, “বিজেপির আসল এজেন্ডা হল ভারতের বৈচিত্র্য এবং মুসলিম পরিচয়ের অবসান ঘটানো।” তবে যাই হোক সুনকের ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রভাব যে ভারতে খুব জোরাল ভাবে পড়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।