মুলায়মের অবর্তমানে এই ব্যক্তিকে ‘ছোট নেতাজি’ বলে ডাকার কথা বললেন শিবপাল যাদব

0
26

লখনউ: মাঝে সমস্যা তরি হলেও মইনপুরী লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের আগে মিল হয়েছে কাকা ভাইপোর। আসন্ন লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের আগে সমাজবাদী পার্টির হয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছে শিবপাল সিং যাদব। বুধবার রাজ্যের মানুষদের জানিয়েছেন তাঁরা যেমন সকলে প্রয়াত সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিং যাদবকে ‘নেতাজি’ বলে ডাকতেন তেমনি সম্মানের সঙ্গেই যেন অখিলেশ যাদববে “ছোট নেতাজি” বলে ডাকেন।

ময়নপুরী লোকসভা উপনির্বাচনের আগে ভাইপো অখিলেশ যাদবের সঙ্গে পুনর্মিলনের পরে, প্রগতিশীল সমাজবাদী পার্টির (লোহিয়া) প্রতিষ্ঠাতা শিবপাল সিং যাদব বুধবার বলেছেন, সমাজবাদী পার্টির প্রধানকে “ছোট নেতাজি” বলে ডাকতে বলেছিলেন যেমন তারা দলের কুলপতি মুলায়ম সিং যাদবকে ডাকতেন। ময়নপুরী সংসদীয় এলাকার যশবন্ত নগরে একটি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে শিবপাল যাদব বলেন, “আপনি (অখিলেশ) কারহালে বলেছিলেন যে নেতাজির (মুলায়ম সিং যাদব) মতো কোনো নেতা নেই। আমি বলতে চাই যে মইনপুরীর মানুষ এবং সাইফাই ডাকত। তাঁকে বড় মন্ত্রী এবং আমাকে ছোট মন্ত্রী বলা হত। এখন আমি চাই আপনারা সবাই অখিলেশকে ‘ছোট নেতাজি’ বলে ডাকুন। মইনপুরি ও ইটাওয়ার লোকেরা মুলায়ম সিং যাদবকে ‘নেতাজি’ বলে ডাকত এবং সমাজবাদী পার্টির কর্মীরাও তাঁকে একই নামে ডাকতেন।”

- Advertisement -

আরও পড়ুন- Gujarat Election 2022: বেজেছে যুদ্ধের ঘণ্টা, আগামীকাল ৮৯ টি আসনের জন্য নির্ধারিত হবে ৭৮৮ জন প্রার্থীর ভাগ্য

এদিন ঐক্যের একটি নতুন মনকাড়া ছবি দেখা গিয়েছে। প্রচারের সময় অখিলেশ যাদব এবং ডিম্পল যাদব তাঁদের কাকা শিবপাল যাদবের পা ছুঁয়েছিলেন যখন তাঁরা মইনপুরী উপনির্বাচনের প্রচারে বেড়িয়েছিলেন। ময়নপুরী আসনের জন্য শিবপাল যাদব অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল যাদবের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন, যেটি মুলায়ম সিং যাদবের মৃত্যুর কারণে শূন্য হয়েছে। শিবপাল যাদব এদিন আরও বলেছেন, “তিনি (ডিম্পল যাদব) আমার বাহু এবং নির্বাচনে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী। আমি মইনপুরীর জনগণের কাছে তাকে উপনির্বাচনে নজিরবিহীন ব্যবধানে জয়ী হতে সাহায্য করার জন্য আবেদন করছি।” ডিম্পলের হয়ে প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে শিবপাল বিজেপি প্রার্থী রগুরাজ সিং শাক্যেরও সমালোচনা করেছিলেন যিনি একসময় তাঁর খুব ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়। বিজেপি প্রার্থীকে নিশানা করে তিনি বলেছেন, “কিছু লোক নিজেদেরকে ‘শিষ্য’ (অনুসারী) বলে কিন্তু তারা তা নয়। একজন সত্যিকারের ‘শিষ্য’ সর্বদা অনুমতি না নিয়ে চলে যায় না।” তিনি আরও বলেন, “আমিই ছিলাম যার কারণে তিনি কেরানির চাকরি পেয়েছিলেন। এবং তাকে দুবার এমপি হতে সাহায্য করেছি।”