পরীক্ষায় টুকলি করতে গিয়ে ধরা পড়ায় আত্মঘাতী কিশোর

0
69
mysterious death of an former airforce officer and his wife

ব্যাঙ্গালোর: ১৪ তলার বিল্ডিং থেকে ১৬ বছরের এক কিশোরের মরণ ঝাঁপ। এলাকাবাসীরা বহুতল ভবনটির নীচে কিশোরটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও হল না শেষরক্ষা। ১৪ তল বিশিষ্ট বহুতল্টির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) মইন খান নামক ওই কিশোর। ঘটনায় স্তব্ধ এলাকাবাসী। জানা গিয়েছে, উত্তর ব্যাঙ্গালোরের হেগড়েনগর পাবলিক স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া ওই কিশোর থানিসান্দ্রা মেনরোড এলাকার বালাজি লেআউট নামক একটি আবাসনের বাসিন্দা। মঙ্গলবার বিকেলে স্কুলের পরীক্ষায় টুকলি করতে গিয়ে শিক্ষকের কাছে ধরা পড়ে যায়। এরপর পরীক্ষার হল থেকে মইনকে বের করেন দেন দায়িত্বে থাকা শিক্ষক।

আরও পড়ুন- গোষ্ঠী কোন্দল ঠেকাতে সিপিএমের স্টাইলে কো-অর্ডিনেশন কমিটি গড়লেন তৃণমূল নেত্রী

- Advertisement -

কিন্তু ওই পড়ুয়া স্কুল থেকে পালিয়ে সন্ধ্যে বেলায় বাড়ির কাছের একটি বহুতল, আর আর সিগনেচার এপার্টমেন্টের ছাদে চলে যায়। ওই সময়েই একজন এলাকাবাসী বহুতলের ছাদের কিনারায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় মইনকে দেখতে পান এবং তাঁকে ঝাঁপ দিতে বারণ করেন। ইতিমধ্যেই বহুতলের নীচে মানুষের ভিড় জমে যায়। ওই ভিড়ের মধ্যেই কেউ পুরো ঘটনাটির ভিডিও করেন। স্থানীয়দের একাধিকবার নিষেধ সত্ত্বেও ১৪ তলা বিল্ডিং-এর ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয় ওই কিশোর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার পর মইনের বাবা মহম্মদ নূর স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং আবাসনটির নিরাপত্তাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

আরও পড়ুন- নামী কোম্পানির নামে লাখ লাখ টাকা প্রতারণা

সাম্পিগেহালি থানার পুলিশ নূর সাহেবের অভিযোগের ভিত্তিতে আত্মহত্যার (Suicide) প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মইনের বাবা মা। তাদের বক্তব্য, স্কুল কর্তৃপক্ষের চাপেই তাঁদের ছেলের প্রাণ গেল। মইনের বাবা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ আমরা স্কুল থেকে একটা ফোন পাই। সেখানে বলা হয়, টুকলি করতে গিয়ে মইন হরা পড়েছে। ওনারা আমাকে স্কুলে যেতে বলেছিলেন। আমি তৎক্ষণাৎ স্কুলে যাই। তবে ততক্ষনে মইন স্কুল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল।” পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন মইনের বাবা। তাঁর দাবী, শিক্ষক মহাশয় যদি ওভাবে পরীক্ষার হল থেকে মইনকে বের না করতেন, তাহলে আজ এই দিন দেখতে হত না।