সাতসকালে ভূমিকম্প, আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নামলেন বাসিন্দারা

0
152
Earthquake
প্রতীকী ছবি

খাস খবর ডেস্ক: করোনা আতঙ্কে কাঁপছে সমগ্র বিশ্ব। আতঙ্কের গ্রাসে থেকে মুক্ত হতে পারেনি ভারত। এরই মাঝে কেঁপে উঠল ভারতের ভূমি। রবিবার সকালের দিকে কম্পন অনুভূত হল উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুরে। মাঝারি মাপের ভুমিকম্প হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ৪.৩।

জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র জানিয়েছে, এদিন সকাল ৬টা ৫৬ নাগাদ মণিপুরের উখরুলে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৩। যদিও এখনও পর্যন্ত হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত কোনও খবর পাওয়া যায়নি। মণিপুর রাজ্যটি ভূমিকম্প প্রবণ হিসেবেই পরিচিত। মাঝে মধ্যেই স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্য। এদিকে সাতসকালের ভূমিকম্পে অধিকাংশ মানুষই ভয়ে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। গতকাল লাদাখেও একাধিকবার কম্পন অনুভূত হয়েছে।

- Advertisement -

উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার ভোরে জোরদার কম্পন অনুভূত হয় নেপালে। অনেকেই ঘুমিয়ে ছিলেন সেইসময়। আধোঘুমের মধ্যে কয়েক সেকেন্ডের কম্পনে ধড়মড়িয়ে উঠে বসেন। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৩। নেপালের স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়েছিল বলে জানায় জাতীয় ভূমিকম্প নিরীক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র। এই কম্পনের উৎস কাঠমাণ্ডু থেকে ১১৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম তথা পোখরা থেকে ৩৫ কিলোমিটার পূর্বে লামজুং প্রদেশের ভুলভুলেতে। কম্পনের মাত্রা ৫.৩।

File Picture

শুক্রবার রাতে আবার জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চিন। সাড়ে ৪ ঘণ্টায় মধ্যে চিনের দুই অংশে ভূমিকম্প হয়। উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম চিনে জোরাল কম্পন অনুভূত হয়েছে। দুটি কম্পনের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কয়েক মিনিট ধরে ভয়াবহ কম্পন অনুভব করেন দুই রাজ্যের বাসিন্দারা। অধিকাংশ মানুষই ভয়ে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। এরপর আফতার শকও অনুভূত হয়। এই কম্পনের জেরে পার্বত্য এলাকায় অন্তত ২ মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্য ক্ষতিও হয়েছে। চিনে নিয়মিতই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। চিনের পার্বত্য পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা বলে পরিচিত।