Anti-Drone Technology: দেশীয় অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি তৈরি করছে ভারত, শীঘ্রই পৌঁছাবে সেনার হাতে, শত্রুদের সতর্ক করে জানালেন শাহ

যেখানেই সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী এবং সিএপিএফের উপর হামলা হয়েছে, আমরা অবিলম্বে প্রতিশোধ নিশ্চিত করেছি।

0
74

নয়াদিল্লি: চলতি বছরেই ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাতে একাধিক ড্রোনের দেখা মিলেছে। শুধু দেখাই নয় কাশ্মীরে বায়ুসেনার ঘাঁটি লক্ষ করে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানি ড্রোন। সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদীদের করেছে অস্ত্র সরবরাহ। ভারত দেশের সীমান্তে এই ডিভাইসগুলি থেকে ক্রমবর্ধমান হুমকিকে নস্যাৎ করতে তাই দেশীয় অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি তৈরি করছে। যা শীঘ্রই নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে উপস্থিত করা হবে বলেই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

জয়সালমেরে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ)৫৭ তম উত্থাপন দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মোদী সরকারের কারণেই সীমান্ত নিরাপত্তা হল জাতীয় নিরাপত্তা এবং এটি বাহিনীকে বিশ্বের সেরা সীমান্ত রক্ষা প্রযুক্তি প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি উল্লেখ করেছেন যে ১৯৬৫ সালের পর, যখন বিএসএফর উত্থান হয়েছিল, তখন প্রথমবারের মতো সীমান্তে রাইজিং ডে অনুষ্ঠান উদযাপন করা হচ্ছে। বিএসএফ কর্মীদের উদ্দেশে অমিত শাহ বলেছেন, “একটি দেশ তখনই বিশ্বে উন্নতি করতে পারে এবং এগিয়ে যেতে পারে যখন সে নিরাপদ থাকে। আপনারা দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। সর্বদা মনে রাখবেন যে সীমান্ত পাহারা দিয়ে আপনি দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন এবং বিশ্বব্যাপী একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করছেন।”

- Advertisement -

আরও পড়ুন- Nagaland Firing: ‘দেশের ভূমিতে সাধারণ মানুষ বা নিরাপত্তারক্ষী কেউ নিরাপদ নয়’, নাগাল্যান্ড ইস্যুতে কেন্দ্রকে আক্রমণ রাগার

রবিবার অমিত শাহ বলেছেন, কেন্দ্র সরকার নিশ্চিত করবে যে বিশ্বের সেরা প্রযুক্তি বিএসএফের কাছে উপলব্ধ করা হবে। শাহের কথায়, “এটি সরকারের প্রতিশ্রুতি। সেখানে ড্রোন থেকে ক্রমবর্ধমান হুমকির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। বিএসএফ, ডিআরডিও এবং এনএসজি একটি ড্রোন-বিরোধী প্রযুক্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে। আমাদের বিজ্ঞানীদের প্রতি আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে আমরা শীঘ্রই একটি দেশীয় অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তি তৈরি করতে সক্ষম হব।”

আরও পড়ুন- Train Accident: লাইনে আটকে থাকা মারুতি গাড়িকে ধাক্কা ট্রেনের, এলাকায় বিক্ষোভ স্থানীয়দের   

২০১৪ সাল থেকে মোদী সরকার সীমান্ত নিরাপত্তার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে। বলেই তিনি উল্লেখ করেছেন। অমিত শাহ বলেছেন, “যেখানেই সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী এবং সিএপিএফের উপর হামলা হয়েছে, আমরা অবিলম্বে প্রতিশোধ নিশ্চিত করেছি। ভারত নিশ্চিত করেছে যে কেউ আমাদের সীমান্ত বা সেনাদের হালকাভাবে নিতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অধীনে কেন্দ্রীয় সরকার যথাক্রমে উরি এবং পুলওয়ামা হামলার পরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং বিমান হামলা করে শক্তিশালী প্রতিশোধ নিশ্চিত করেছে। সমগ্র বিশ্ব এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে।”