এই কারণে আগামী এক দশকের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে রাজ্যের সব সরকারি স্কুল

0
163
student

খাস খবর ডেস্ক: করোনা আবহে গত প্রায় দু’বছর স্কুল বন্ধ ছিল।গত ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল শুরু হয়েছে। অনলাইনে পড়াশোনা হলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। শুধু ছাত্র-ছাত্রী কমেছে, তাই নয়। মানও ঠেকেছে তলানিতে। প্রথম শ্রেণির ৩০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী এক থেকে নয় পর্যন্ত সংখ্যা চিনতে পারে না। ১০-৯৯ পর্যন্ত সংখ্যা চিনতে পারে মাত্র কুড়ি শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী। এরকম চলতে থাকলে আর এক দশকের মধ্যে রাজ্যের সব সরকারি স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে,‌ এমনই মন্তব্য করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।

আরও পড়ুনঃ ‘ঠাকুমা বলত, ‘অভাগা যেখানে যায়, সাগর শুকায়ে যায়’, শুভেন্দুকে একহাত নিলেন দেবাংশু

- Advertisement -

কার্বি আংলংয়ের ডিফুতে সরকারি শিক্ষকদের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠানে অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘এখনকার যে ধারা চলছে, তাতে ১০ বছর পরে আর কোনও ছাত্রছাত্রী সরকারি স্কুলে পড়তে চাইবে না। সেই সময় সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের স্বেচ্ছাবসর নিতে হবে। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সে জায়গা নেবে বেসরকারি স্কুল।’

তিনি বলেছেন, ‘২০১২-১৪ সালের মধ্যে সরকার ৫৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করেছিল। কিন্তু ২০১২ সালে যেখানে ৮৪ শতাংশ ছাত্রছাত্রী সরকারি স্কুলে পড়ত, সেখানে এখন সরকারি স্কুলে যায় মাত্র ৬৮ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। এই সংখ্যায় ছাত্রছাত্রী কমতে থাকলে ১০ বছর পরে সরকারি স্কুলে পড়ার মতো ছাত্রছাত্রীই থাকবে না।” তিনি আরও বলেন, এখন কম ছাত্রছাত্রী থাকা স্কুলগুলির একত্রীকরণের পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তার পরেও যখন ছাত্রছাত্রী থাকবে না, তখন সরকারের হাতে আর কোনও উপায় থাকবে না। ১০ বছর পরে সব শিক্ষককে বাধ্যতামূলক স্বেচ্ছাবসরে পাঠাতে হবে।’

স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে পারে সরকারি বা সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত স্কুলে পড়ুয়াসংখ্যা কমার জন্য কেবল শিক্ষক-শিক্ষিকারাই কি দায়ী! তাঁরা কি শ্রেণিকক্ষে যথেষ্ট আন্তরিক নন? আবার সরকারি স্কুলে পড়ুয়া কমা ঠেকাতে সরকারি নজরদার সংস্থারা কী করছে, বিদ্যালয় পরিদর্শন কি বন্ধ হয়ে গিয়েছে ইত্যাদি বিষয়েও নজর দেওয়া প্রয়োজন।