২৬ জানুয়ারির ঘটনায় ‘গভীরভাবে মর্মাহত’, কৃষক আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াল দুটি সংগঠন

0
298

নয়াদিল্লি: ঐক্যে ধরল ভাঙন৷ কৃষক আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াল দুটি সংগঠন৷

গত বছরের নভেম্বর থেকে মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভাবে শুরু হয়েছিল কৃষক আন্দোলন৷ কিন্তু ২৬ জানুয়ারির দিন কৃষক আন্দোলনের ‘জঙ্গি’ চেহারা দেখে আঁতকে ওঠেন দেশবাসী৷ বেলা ১২টা নাগাদ মিছিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল সাড়ে আটটায় প্রথম ব্যারিকেড ভাঙেন আন্দোলনকারীরা৷

- Advertisement -

এরপর পুলিশের কথা না শুনে অন্য রুট ধরে মিছিল নিয়ে যাওয়া, ট্রাক্টর উল্টে এক কৃষকের মৃত্যু, ৮৬ পুলিশ কর্মীর আহত হওয়া, লালকেল্লা অভিযান এবং সর্বোপরি লালকেল্লায় কৃষক সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়৷ এতদিন যাঁরা কৃষকদের পাশে ছিলেন তাঁরাও ঘটনার নিন্দায় সরব হন৷ চাপে পড়ে আজ সকাল থেকে কৃষক সংগঠনের নেতাদের বলতে হচ্ছে, হিংসার ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই৷ ষড়যন্ত্র করে তাদের আন্দোলনকে হেয় করার চেষ্টা চলছে৷

তবে গতকালের বেনজির ঘটনার পর কৃষক সংগঠনগুলির মধ্যে ঐক্যে ফাটল ধরেছে৷ আর তাই আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াল অল ইন্ডিয়া কিষান সংঘর্ষ কো-অর্ডিনেশন কমিটি (এআইকেএসসিসি) এবং ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (ভানু)৷ বুধবার দিল্লির বাইরে দুই সংগঠনের নেতারা সমর্থন তুলে নেওয়ার কথা জানান৷

দুটি সংগঠনই গতকালের হিংসার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন৷ জানায়, এভাবে আন্দোলনকে টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়৷ বুধবার গাজিপুর সীমান্তে অল ইন্ডিয়া কিষান সংঘর্ষ কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতা বি এম সিং বলেন, ‘‘আমরা আন্দোলন তুলে নিচ্ছি৷ কিন্তু কৃষকদের অধিকার নিয়ে লড়াই জারি থাকবে৷’’ তিনি আরও জানান, আন্দোলন চলবে৷ কিন্তু এভাবে নয়৷ এটা সমর্থনযোগ্য নয়৷

২৬ জানুয়ারির ঘটনায় কৃষকদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলও প্রকাশ্যে চলে আসে৷ রাকেশ তিকেইতের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভি এম সিং৷ বলেন, ‘‘আমরা প্রজাতন্ত্র দিবসের মর্যাদা নষ্ট করতে মিছিল করিনি৷ আমরা কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের ক্ষোভকে সমর্থন জানিয়েছিলাম৷ কিন্তু রাকেশ তিকেইত কখনই আখ চাষিদের দুর্দশার কথা সরকারকে জানাননি৷’’