যতটা সম্ভব টিকাদানের উপর মনোনিবেশ করা উচিত: AIIMS প্রধান

0
18

নয়াদিল্লি: করোনার তৃতীয় ঢেউ অক্টোবরে শীর্ষে যাবে এই সতর্কবার্তা আগেই দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় বারের মত যাতে সমস্যা তৈরি না হয় সেই কারণে দেশবাসীকে আগে থেকেই সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। মারণ ভাইরাসের বিস্তার রোধের উপায় জানিয়েছেন AIIMS প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি জানিয়েছেন করোনার হাত থেকে বাঁচতে ভারতের এখন যতটা সম্ভব টিকা দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।

সেরো সমিক্ষার পরামর্শ কথা উল্লেখ করে এইমস প্রধান জানিয়েছেন টিকাদান জোরদারভাবে চলতে থাকলে সম্ভবত করোনার তৃতীয় ঢেউে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হবে না। বলা ভালো এখন পর্যন্ত দেশে ৬০ কোটিরও বেশি টিকা দিয়েছে কেন্দ্র। ইন্টিগ্রেটেড হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং কাউন্সিল আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে রণদীপ গুলেরিয়া উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলিকে টিকা দেওয়ার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। বলেছেন, “যারা এখনও পর্যন্ত টিকা নেয়নি তাঁদের দিকে বেশি করে মনোনিবেশ করা উচিত বলেই আমি মনে করি, বিশেষ করে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলিতে। এখনও অনেক স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, অনেক বয়স্ক এবং যারা কোমর্টিবিটিসে আক্রান্ত তাদের টিকা দেওয়া হয়নি, এবং তাঁদের করোনা সহ আরও গুরুতর রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

- Advertisement -

রণদীপ গুলেরিয়া করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আরও বলেছেন যে, বুস্টার ডোজের ধারণাটি খোঁজার পরিবর্তে, যারা টিকা নেয়নি তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়ার দিকে যদি ফোকাস করা হয় তবে তাঁরা উপকৃত হবেন এবং”আমরা হয়তো জীবন বাঁচাতে পারব।” এইমস প্রধান বলেন যে, দেশে এই মুহূর্তে বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা দেখানোর জন্য পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, “আমি মনে করি না যে আমাদের কাছে যথেষ্ট ডেটা আছে তা দেখানোর জন্য যে এই মুহূর্তে বুস্টারের প্রয়োজন আছে, মনে রাখবেন অ্যান্টিবডিগুলি সুরক্ষা দেওয়ার একমাত্র উপায় নয়।”

গুলেরিয়া বলেন সেরো সমীক্ষার ফলাফল অনুসারে যদি টিকাদান অব্যাহত থাকে, তবে দেশে COVID-19 এর সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউের কেসের সংখ্যা অনেকটাই কম হবে। এই সমস্ত কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে AIIMS প্রধান সকলকেই আরও একবার সতর্ক করে দিয়েছেন। কারণ সাধারণ মানুষের সতর্কতার উপরেই দেশের সংক্রমণের হার অনেকটা নির্ভর করে। মানুষ যত সচেতন হবে তত দ্রুত বাগে আনা যাবে করোনাকে।