পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হচ্ছে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ শনাক্তকারী দেশীয় টেস্ট কিট

0
30

কলকাতা: একে করোনায় রক্ষা ছিল না তার সঙ্গে আবার দোসর হয়ে উঠেছিল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। দেশ সহ পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে নতুন আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। এমনকি ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রাণ কেড়েছিল বহু মানুষের। এবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে দ্রুত শনাক্ত করার জন্য টেস্ট কিট তৈরি করেছে বাংলার বিজ্ঞানীরা। পশ্চিমবঙ্গের
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিজ্ঞানীদের গোষ্ঠী প্রথম টেস্ট কিট তৈরি করেছে মিউকোরমাইকোসিস বা কালো ছত্রাক সনাক্ত করতে।

উল্লেখ্য এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগীরা। এটি অত্যন্ত গুরুতর এবং বিরল এক ছত্রাক সংক্রমণ যেটি আরও মারাত্মক হয়েছে করোনা ভাইরাসের কারণে। সেই সংক্রমণের ফলে একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আক্রান্ত হলেও দ্রুত তা শনাক্ত করবে এই টেস্ট কিট। দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাকরাহাট এলাকার একটি গবেষণাগারে বিজ্ঞানীরা ডায়াগসিউরমিউকোরমাইকোসিস ডিটেকশন কিট তৈরি করেছেন। জানা গিয়েছে, উপলব্ধ কিটগুলির মাধ্যমে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নির্ণয়ের জন্য প্রায় ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে কারণ সেগুলি বাইরে থেকে আমদানি করা হয়েছে। তবে নতুন প্রযুক্তি এই খরচ কমিয়ে এক হাজার টাকায় নিয়ে আসবে বলেই দাবি করেছেন কিট তৈরিকারী কোম্পানি জিসিসি বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক রাজা মজুমদার।

- Advertisement -

আরও পড়ুন- যতটা সম্ভব টিকাদানের উপর মনোনিবেশ করা উচিত: AIIMS প্রধান

রাজা মজুমদার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “লক্ষ্য হল অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে একটি সেরা মানের টেস্টিং কিট প্রদান করা। তাই, মিউকোরমাইকোসিসের RT-PCR পরীক্ষা দ্রুত হারে করা যেতে পারে। আমরা এই কিট তৈরির ক্ষেত্রে প্রথম এবং একমাত্র ভারতীয় সংস্থা, অন্য সব পরীক্ষা বিদেশী কিটের মাধ্যমে করা হয়।” ওই কম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের (DGHS) অধীনে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO) দ্বারা DiAGSure Mucormycosis Detection Kit অনুমোদিত হয়েছিল।

উল্লেখ্য, করোনার সঙ্গেই নতুন করে দেশজুড়ে বাড়ছিল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্তের সংখ্যা। এই রোগকে অতিমারির আওতায় আনা হয়। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নতুন ইনফেকশন জনিত রোগ যা মিউকরমাইসিটিস ছত্রাক থেকে হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এই ছত্রাক নাকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। দেহের একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাংঘাতিক ক্ষতি করতে পারে এটি। বিশেষ করে চোখের ক্ষতি করে। এমনকি হারিয়ে যায় দৃষ্টি শক্তিও। তবে বাংলায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস দ্রুত শনাক্ত করতে অনেক কাজে দেবে বাংলায় তৈরি টেস্ট কিট।