উচ্ছ্বসিত হওয়ার বিশেষ কারণ নেই, অতিমারি পূর্বের অবস্থাতেও ফেরেনি জিডিপি

অতিমারির পূর্বে যে অবস্থায় দাঁড়িয়েছিল দেশ, সেই পরিস্থিতিতেও ফেরেনি জিডিপি

0
84

খাস খবর ডেস্ক: করোনার ফলে থেমে থাকা ভারতীয় অর্থনীতির চাকা গড়িয়েছে তরতরিয়ে। ২০২১-২০২২ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশের উৎপাদন বৃদ্ধির হার বেড়েছে ২০.১ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই জিডিপির এই বৃদ্ধিতে উচ্ছ্বসিত সাধারণ মানুষ। তবে না, আদতে অতিমারির পূর্বে যে অবস্থায় দাঁড়িয়েছিল দেশ, সেই পরিস্থিতিতেও ফেরেনি জিডিপি।

আরও পড়ুন, ফের সচল ভারতীয় অর্থনীতির চাকা, জেনে নিন ২০.১ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির রহস্য

- Advertisement -

২০১৮ সাল থেকেই জিডিপির পতন ঘটতে শুরু করে ভারতের৷ মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে নেমে আসে মারণ ভাইরাস কোভিড। বলা ভাল, এই অতিমারি পরিস্থিতি থেকেই ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে দেশ৷ যেখানে ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপির পতন ঘটেছিল ২৩.৯ শতাংশ। সেখানে আজ জিডিপি বাড়তে শুরু করেছে৷ তবে ২০.১ শতাংশের বিরাট লাফের পরও আগের পরিস্থিতিতে ফেরেনি দেশ। ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে যেখানে ভারতের জিডিপি ছিল মোট ৩৫.৬৮ লক্ষ কোটি টাকার। সেখানেই বর্তমানে তা এসে দাঁড়িয়েছে ৩২.৩৮ লক্ষ কোটিতে।

অর্থাৎ পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট হচ্ছে ভারতের জিডিপির প্রকৃত চিত্র৷এমকে গ্লোবালের প্রধান অর্থনীতিবিদ মাধবী আরোরার কথায়, ‘ভেবেছিলাম দ্বিতীয় ঢেউ ভারতের অর্থনীতির কোমর ভেঙে দেবে। তবে প্রথম ঢেউ থেকে শিক্ষা নিয়েছে দেশ। তাই অতটা ক্ষতি হয়নি।’

আরও পড়ুন, বামশাসিত কেরল থেকে আসলেই বাধ্যতামূলক সাতদিনের নিভৃতবাস, নির্দেশিকা জারি কর্নাটকে

এই বৃদ্ধির জন্য মূলত লকডাউন না থাকাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এই অর্থবর্ষে দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব পড়েনি। লকডাউনের বিধিনিষেধও অনেকটাই শিথিল করে দিয়েছিল সরকারগুলি। আর এর ফলেই রফতানি বেড়েছে ৩৯ শতাংশ। যা কিনা মোট জিডিপির প্রায় ২৫ শতাংশ। এক কথায় বলতে গেলে লকডাউন না থাকায় আবার পুরোনো ছন্দে ফিরতে চলেছে দেশের কর্মসংস্কৃতি। উৎপাদন বাড়ছে, জিডিপিও বাড়ছে৷ তাঁদের মতে, আরও কিছুটা সময় লাগবে আগের অবস্থায় ফিরতে। ২০২২ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই পূর্বের অবস্থায় ফিরবে দেশের জিডিপি।