কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও বাংলায় দারিদ্রতা কমেছে ৪০ শতাংশ: মমতা

0
170

কলকাতা: কেন্দ্রের হাজারো বঞ্চনা অন্যদিকে প্রাক্তনীর রেখে যাওয়া ঋণের বোঝা৷ তা সত্ত্বেও উন্নয়নের নিরিখে মাথা উঁচু করে এগিয়ে চলেছে বাংলা৷ বাংলায় দারিদ্রতা কমে গিয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। বুধবার শহিদ দিবসে ভার্চুয়াল সমাবেশ থেকে দেশবাসীর কাছে এমনই বার্তা রাখলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই প্রসঙ্গেই তীব্র আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদীকে৷

আরও পড়ুন: গুজরাত নয়, বাংলা মডেলেই দিল্লি দখলের ডাক দিলেন মমতা

- Advertisement -

রীতিমতো ব্যঙ্গের সুরে তৃণমূল নেত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘রোশনি চাঁদ সে হোতা হ্যায়, সিতারোঁ সে নহি, মহব্বত কাম সে হোতা হ্যায় মোদিজী, মন কি বাত কহেনে সে নহি।’’ পেশ করেছেন তথ্য, ‘‘আস্ত কেন্দ্রীয় সরকার নেমে পড়েছিল আমাদেরকে হারাতে৷ দিল্লি থেকে রীতিমতো ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছে৷ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে লেলিয়ে দিয়েছে৷ তারপরেও ওদের স্বপ্ন পূরণ হয়নি৷ কারণ, বাংলার মানুষ জানে, তৃণমূল কাজ করে, মানুষের কথা বলে৷’’

আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের কন্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে, বিরোধীদের একজোট হওয়ার ডাক দিলেন দিদি

কন্যাশ্রী থেকে স্বাস্থ্য সাথী, তাঁর আমলে বাংলার আমআদমির জন্য চালু হওয়া একাধিক সরকারি প্রকল্পের উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘‘আমারই পারি মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে৷ ১০ বছর আগে যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম তখন সিপিএমের রেখে যাওয়া ঝণের বোঝাকে সঙ্গী করে সরকারে আসতে হয়েছিল৷ এখন সেখানে আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে সর্বক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়েছি৷ বাংলার দারিদ্রতা কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ৷’’

আরও পড়ুন: চাপে পড়েই কি বিজেপির প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন মুকুল রায়

তৃণমূল নেত্রীর এহেন দাবিকে কেন্দ্র করে জনমানসে তো বটেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে৷ তাঁদের মতে, বাংলায় যদি দারিদ্রতার হার ৪০ শতাংশ কমেই গিয়ে থাকে তাহলে এত মানুষকে ফ্রিতে রেশন কেন দেওয়া হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি সংগঠিত করার পরিকল্পনা করছে গেরুয়া শিবির৷ সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভুয়ো তথ্যের অভিযোগে এবার রাজ্য জুড়ে সরব হতে চলেছে গেরুয়া শিবির৷