শান্তি রায়চৌধুরী: ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট— চাম্পিয়ন্স লিগের অধরা ট্রফির জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে পিএসজি। এর জন্য এবার মেসিকে এনেও লাভ হয়নি পিএসজির। অধরাই থেকে গিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। তবে মাঠের সাফল্য যেমনই হোক, মেসিকে এনে ফরাসি জায়ান্ট পিএসজির আয় বেড়েই চলেছে। এই আর্জেন্টাইন তারকা পিএসজিতে পা রাখার পর ক্লাবটির জার্সি বিক্রি হয়েছে এক মিলিয়নের-ও বেশি। সেই সঙ্গে পিএসজির স্পন্সরশিপ থেকে আয় বেড়েছে ১৩ শতাংশ। এছাড়া বিজ্ঞাপন থেকে তাদের আয় হবে ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি, যা ক্লাবটির নতুন রেকর্ড।
আরও পড়ুন: অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের মৃত্যু ফিরিয়ে আনছে আরও কিছু দুর্ঘটনার স্মৃতি
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/
বেশ কয়েক বছর ধরেই ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অধরা ট্রফির জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে পিএসজি। চলতি মরশুমে মেসি দলে যোগ দেওয়ায় ফরাসি লিগ চ্যাম্পিয়নদের প্রত্যাশাটা-ও বাড়ে। কিন্তু বরাবরের মত আবার-ও হতাশায় নিমজ্জিত হতে হয়েছে ক্লাবকে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিততে না পারলেও ক্লাবকে আরও বেশি ধনী বানিয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
ফরাসি সংবাদ মাধ্যম এল ইকুইপের দাবি, পিএসজি এবার ৭০০ মিলিয়ন ইউরো আয় করেছে। ২০১১ সালে কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ ক্লাবটি কেনার পর এত বেশি আয় করেনি আর কখনও। মেসির সঙ্গে বছরে ৫০ মিলিয়ন ইউরোতে চুক্তির পর পিএসজির পৃষ্ঠপোষক থেকে ১৩ শতাংশ আয় বেড়েছে। যেখানে দুটি স্পন্সর প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়তি ১০ মিলিয়ন ইউরো পেয়েছে পিএসজি।
এছাড়া মেসি পিএসজিতে যোগ দেওয়ার পরই দলটির জার্সি বিক্রি হয়েছে এক মিলিয়নেরও বেশি। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ-ই মেসির নাম ও নম্বর সংবলিত। আর সবমিলিয়ে জার্সি বিক্রিতে পুরো বিশ্বে দুই নম্বরে রয়েছে ফরাসি লিগ চ্যাম্পিয়নরা। যেখানে পিএসজির চেয়ে এগিয়ে একমাত্র ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শুধু তাই নয়, মেসি ক্লাবে যোগ দেওয়ায় পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসের টিকিট বিক্রির হারও বেড়েছে।
তবে পিএসজির আয়ে নেতিবাচক প্রভাবও পড়েছে। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকে হেরে বিদায় নেওয়ার পর ফরাসি জায়ান্টদের টেলিভিশন সম্প্রচার থেকে আয় কমে গেছে প্রায় অর্ধেক।