বিজয়া দশমীতে সিঁদুর খেলা, জেনে নিন পৌরাণিক মাহাত্ম্য

0
93

খাস ডেস্ক: ৯ দিন ৯ রাত মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করে দশমীর দিন বিজয় লাভ করেন দেবী দশপ্রহরণধারিণী। সেই কারণেই এই দিনটিকে বিজয়া দশমী বলা হয়। আর এই বিজয়া দশমীর দিনেই হিন্দু সধবা মহিলারা সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। দেবী উমাকে বরণ করে বিদায় জানান বাড়ির বউরা। যদিও এই সিঁদুর খেলা এখন আর সধবাদের মধ্যে আবদ্ধ নেই। নিয়ম বাধা ভেঙে কুমারী মেয়েরা, এমনকি বিধবা ও রূপান্তরকামীরাও সিঁদুর খেলায় অংশ নিচ্ছেন। কলকাতার এক নামি ক্লাবের দুর্গাপুজোয় আমরা এমনটাই দেখেছি।

সিঁদুর খেলার এই ঐতিহ্য প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো। যদিও দুবরাজপুরের সিঁদুর খেলা মহাসপ্তমীতে উদযাপন করা হয়। এদিকে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারীর নিকটবর্তী বিজরা গ্রামে, ঘোষ ও বসু পরিবারের পরিবারব মহাষ্টমীতে সিঁদুর খেলা উদযাপন করা হয়। মহাষ্টমীর অনুষ্ঠানের পুজো শেষে গ্রামের সমগ্র বিবাহিত মহিলারা সিঁদুর খেলেন। সিঁদুর খেলা নিয়ে কথিত আছে, একাধিক রীতি নীতি। এক এক জন গুনী এক এক রকমের ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন। কেউ কেউ বলেন, প্রায় ২০০ বছর আগের পুরনো রীতি। জমিদারদের দুর্গা পুজোয় গৃহবধূদের মধ্যে এই সিঁদুর খেলার রীতি প্রচলন। সাধারণত লাল পাড়ের সাদা শাড়ি ও ঐতিহ্যর গহনা পরে সধবারা দেবী উমাকে বরণ করেন।

- Advertisement -

আরও পড়ুন: শারজাহতে খেলতে ভয় পায় ভারত, বিতর্কিত মন্তব্য প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের

কেউ কেউ আবার বলে থাকেন, সিঁদুর খেলার ঐতিহ্য ৪০০ বছরের পুরনো। নিছক খেলার ছলেই এই প্রথার চল হয়। মায়ের বিসর্জনের দিন সকলের মনই ভারাক্রান্ত থাকে। তাই ওই দিন একটু আনন্দ উল্লাসের জন্যই সিঁদুর খেলার প্রবর্তন হয়। পুরান আবার সম্পূর্ণ অন্য রকম ব্যাখ্যা দেয়। পুরান মতে সিঁদুর খেলার (Sindur Khela) তাৎপর্যও হল, সিঁদুর ব্রহ্মের প্রতীক। সধবারা সেই ব্রহ্মস্বরূপ সিঁদুর সিঁথিতে ধারন করে স্বামী ও পরিবারের মঙ্গলকামনা করেন। সিঁদুর খেলা আসলে স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনার করা হয়।

শ্রীমদ্ভগবতের একটি ব্যাখ্যাও আছে. কাত্যায়নী ব্রত উপলক্ষে গোপীনিরা নাকি সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতেন। একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে তাঁরা আসলে শ্রীকৃষ্ণেরই মঙ্গল কামনা করতেন। সিঁদুর খেলার পর নাকি স্বামী ও সংসারের সমস্ত অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা করা যায়। পাশাপাশি প্রতিবেশীদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও মনোমালিন্যের নিষ্পত্তি হয়।