এখন তো সারা বছরই রং খেলা, আলাদা করে ফাগুন পূর্ণিমার প্রয়োজন কী

0
37

বিশ্বদীপ ব্যানার্জি: বসন্তোৎসব রঙের উৎসব। কিন্তু আজকের দিনে আলাদা করে কোনও রঙের উৎসবের সত্যিই কি কোনও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে? এখন তো সারা বছর-ই দোল (Holi)!

আরও পড়ুন: চিনের এক গবেষণাগার থেকে ছড়িয়েছিল করোনা ভাইরাস, সামনে এল সত্য

- Advertisement -

অবশ্য নাঃ একটু ভুল হল। সারা বছর দোল (Holi) মোটেই নয়। দোল পূর্ণিমা বছরের এই নির্দিষ্ট একটি পূর্ণিমা— ফাগুন পূর্ণিমাকে-ই বলে। আসলে যে কথা বলতে চাইছি তা হল, এখন সারা বছরই কারণে-অকারণে রং খেলা হয়। কারণটা রাজনৈতিক। অকারণটা-ও তাই। রাজনৈতিক। এখন সারা বছরই লেগে থাকে নির্বাচন এবং নানারকম রাজনৈতিক কর্মসূচি। আর সেসবকে উপলক্ষ্যে করে চলতে থাকে রং খেলা-ও। নাঃ নির্দিষ্ট কোনও একটি রংকে নিশানায় রাখা এই নিবন্ধের উদ্দেশ্য নয়। নিশানাটা সকল রাজনৈতিক রং-কেই।

নির্বাচন বা উপনির্বাচন এখন সারা বছর চলে। ১২ মাসে ১৩টি কিংবা তারও বেশি নির্বাচন হয়। আর জয়ী দলের কর্মীদের উদযাপনের প্রধান রীতিই হল দলীয় রংয়ে একে অপরকে রাঙিয়ে দেওয়া। এটি যেন অলিখিত নিয়ম-ই হয়ে গিয়েছে। করতেই হবে। এছাড়া আরও নানান কর্মসূচি সারা বছর ধরেই চলে। সেখানেও একই রীতি আবশ্যিক।

খাস খবর ফেসবুক পেজের লিঙ্ক:
https://www.facebook.com/khaskhobor2020/

বসন্তোৎসব (Holi) এতে কি তার প্রাসঙ্গিকতা হারায় না? হতে পারে, দোল পূর্ণিমা (Holi) বিশুদ্ধ রং খেলার-ই দিন। এদিনের রং খেলায় না থাকে কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য, না থাকে কোনও স্বার্থ চরিতার্থ করার নেপথ্য কাহিনী। শুধু মনের আনন্দে একে অপরকে রাঙিয়ে দেওয়া। তবু যে কাজ সারা বছর ধরেই করে আসা হচ্ছে, আলাদা করে তা করায় সত্যিই কোনও আনন্দ থাকে কী?

বোধহয় সত্যিই থাকে না। অবশ্য এক্ষেত্রে পটকা ফাটানোর প্রসঙ্গও উঠতে পারে। শুধু তো রং খেলাই নয়। নিরন্তর পটকা ফাটানোও যে রাজনৈতিক সাফল্য উদযাপনের অন্যতম প্রধান পন্থা। অর্থাৎ হোলি-ই (Holi) শুধু সারা বছর নয়। দীপাবলি-ও তা-ই? একেবারেই না। কারণ পটকা ফাটানো কেবল দীপাবলির অঙ্গ নয়। যে কোনও সাফল্যেই আতসবাজি বা পটকা ফাটানোর রীতি রয়েছে। এমনকি বিয়ে ইত্যাদি শুভ অনুষ্ঠানেও। রং খেলার আদি এবং একমাত্র উপলক্ষ্য কিন্তু দোল-ই।