বিধায়কের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন, তাই কি খুন, উত্তর খুঁজছে অনুগামীরা

0
19

ভাটপাড়া: একসময় তাঁর বিরুদ্ধে গুন্ডামির হাজারও অভিযোগ ঠিল৷ তবে ইদানীং সেই সব ছেড়ে দিয়ে ইমারতি ব্যবসায় মন দিয়েছিলেন মহম্মদ সালাউদ্দিন আনসারি ওরফে মুকুল (২৭)। তারপরও শেষ রক্ষে হল না৷ গুন্ডাদের হাতেই প্রাণ গেল তাঁর৷ শনিবার সকালে ভাটপাড়ায় চলা গুলিতে হত মুকুলের অনুগামীরা এমন তথ্যই সামনে এনেছেন৷ যদিও পরিস্থিতির পিছনে দুষ্কৃতীদের অন্তর্কলহকেই দায়ী করেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ, তৃণমূল নেতা অর্জুন সিং৷

অর্জুনের দাবি, ‘‘ওর (মুকুল) সঙ্গে যারা থাকত, তাদেরই একাংশ সঙ্গে থাকে তারাই মেরেছে৷ ওখানে অনেক রকমের লোক আছে৷ ওরা নানা রকম দুর্নীতিতে জড়িত৷ আগে কামারহাটির ব্লাস্টেও ওদের নাম জড়িয়েছিল৷ ওখানে হুকিং লাইন, হেরোইনের কারবার রয়েছে৷ তবে ঠিক কি কারণে এই খুন, ব্যক্তিগত কোনও লড়াই নাকি ঝামেলা থেকে এমন হত্যা কাণ্ড, সেটা পুলিশকেই তদন্ত করে বের করবে৷’’

- Advertisement -

যদিও অর্জুনের দাবির সঙ্গে সহমত নন নিহত যুবকের অনুগামীরা৷ মহম্মদ জাভেদ, মহম্মদ আমিরেরা বলেন, ‘‘মুকুল এখন ভাল হয়ে গিয়েছিল৷ নিজের ব্যবসা নিয়েই থাকত৷ খারাপ কোনও কাজে যুক্ত ছিল না৷ তবু ইর্ষা থেকেই ওকে মেরে ফেলল৷’’ জাভেদ জানান, ‘‘এদিন পঙ্কজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে ওই চা দোকানে আসে৷ মুকুল আগে থেকেই বসেছিল৷ পঙ্কজই ওকে সিগারেট খেতে দেয়৷ তারপর গল্প করতে করতে পিছন থেকে মাথা লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে৷’’

স্থানীয় সূত্রে অবশ্য খবর, বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের অত্যন্ত ঘনিষ্ট ছিলেন মুকুল৷ সেই সূত্রে একাধিক টেন্ডারের কাজও পাচ্ছিলেন তিনি৷ সেই আক্রোশ থেকেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভাটপাড়ার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাকড় মহল্লায়। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকলেও বাসিন্দাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে চাপা আতঙ্ক৷

আরও পড়ুন: ফের গুলির রাজনীতিতে ফিরল ভাটপাড়া, হত যুবক