যে পরিমাণ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেই পরিমাণে পরিকাঠামো নেই: ICMR

0
101

কলকাতা: করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের দাপটে থরহরিকম্প গোটা বিশ্ব। তারওপর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। তবে এখনও অবধি প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়েভের থেকে সংক্রমণ কম হলেও, হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে আক্রান্তদের একাংশকে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক।

আরও পড়ুনঃ সংক্রমণ ঠেকাতে দিল্লিতে এখন অনলাইন অর্ডারই একমাত্র ভরসা, রেস্তরাঁ-পানশালায় বসে খাওয়া নিষিদ্ধ

- Advertisement -

এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে অবশ্যই সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। এরই মধ্যেই আবার একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে আইসিএমআর। বলা হয়েছে, কোভিড টেস্টের জন্য কোন কোন ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।

আরও পড়ুনঃ PM Modi: দেশজুড়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী

অর্থাৎ এখন যেহেতু, গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে উপসর্গহীনদের পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই। ডোমেস্টিক ট্রাভেলের ক্ষেত্রেও নতুন করে পরীক্ষা করানোর কোনও প্রয়োজন নেই। হাসপাতালে উপসর্গহীন রোগীদেরও পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন নেই। যারা নিশ্চিতভাবে পজিটিভ, তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন, এমন ব্যক্তিরও যদি উপসর্গ না থাকে, তাহলেও পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। হোম আইসোলেশনের ডিসচার্জেরও প্রয়োজন নেই।

হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কারণ, ল্যাবগুলির অনেক টেকনিশিয়ান, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, মাইক্রো বায়োলজিস্ট, চিকিৎসক, প্যাথোলজিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরও অধিকাংশ সংক্রমিত। এই মুহূর্তে টেস্টিংয়ের পরিকাঠামোর ওপর যতটা সম্ভব চাপ কমানো যায়, সেদিকটাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। যে পরিমাণ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেই পরিমাণে পরীক্ষা করানোর মতো পরিকাঠামো বর্তমানে নেই। তবে যে নির্দেশিকা বেড়িয়েছে, তা সম্পর্কে কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের ওয়াকিবহাল হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে এর ফল পড়ে ভুগতে হবে।

এদিকে, সংক্রমণ বাড়ায় কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করে দিচ্ছে প্রশাসন। তারপর আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির ৭ দিনের সময়সীমাও শেষ হয়েছে, তিনি নেগেটিভও হয়েছেন। কিন্তু যতক্ষণে আগের তালিকা স্থানীয় থানায় পৌঁছছে, পুলিশ গিয়ে আবার ওই জায়গাকে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করে দিচ্ছে। পুলিশের কাছে কিন্তু এটা বিচার্য হচ্ছে না, ওই ব্যক্তির ‘আইসোলেশন পিরিয়ড’ যে শেষ হচ্ছে। তাতে কিন্তু তাঁকে ঘরবন্দি করে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। সেটাই সমস্যা হচ্ছে।