করোনার কারণে বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

0
200

নয়াদিল্লি: করোনার কারণে বড় প্রভাব পড়েছে দেশের সমাজজীবনে। যার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে দেশের অর্থনীতি। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

প্রতি বছর মার্চ মাসের অন্তিম দিনেই শেষ হয়ে যায় অর্থবর্ষের মেয়াদ। কিন্তু করোনার কারণে কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে। সেই কারণে অর্থবর্ষের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের একাংশ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের মাধ্যমে মন্ত্রিসভার কাছে এই প্রস্তাব পেশ করার দাবিও উঠেছে।

- Advertisement -

যদিও সেই দাবিকে মান্যতা দেয়নি অর্থমন্ত্রক। তবে আয়কর এবং নানাবিধ কর দাখিল করার মেয়াদ অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১৮-২০১৯ সালের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার চূড়ান্ত সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। নিয়ম অনুযায়ী ওই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি মাসের ৩১ তারিখে।

মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন একই সঙ্গে আধার ও প্যান কার্ড লিঙ্ক করার সময়সীমাও পিছিয়ে ৩০ জুন করেছেন। সেটির মেয়াদও ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। পাশাপাশি, বিলম্বিত টিডিএস জমার ক্ষেত্রে ৩০ জুন পর্যন্ত মাত্র ৯% কর ধার্য হবে। আগে এই জরিমানার পরিমাণ ছিল ১২ শতাংশ।

চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের অর্থবর্ষের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবিকে মান্যতা দিয়েছিলেন একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংসদেরা। কংগ্রেস সাংসদ ও দলের পেশাদার শাখার ভারপ্রাপ্ত শশী থারুর এবং তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এই বিষয়ে টুইট করেছেন।

মহুয়া টুইটে বলেন, এই ব্যাতিক্রমী পরিস্থিতিতে অর্থবর্ষ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত জুন পর্যন্ত। পিছানো হোক জরুরি ঋণ শোধ, বকেয়া মেটানোর সময়সীমাও। থারুরের টুইট, ‘‘আমি সিএ নই। কিন্তু সিএ ও কংগ্রেসের পেশাদার শাখার সকলের তরফে কর ও রিটার্ন জমার জন্য চলতি অর্থবর্ষের সময়সীমা শিথিলের দাবিকে সমর্থন জানাচ্ছি।’’