‘কুল গুঁড়ো’, বিশেষ এই আচারের স্বাদ পেতে জঙ্গলমহলে উপচে পড়া ভিড়

0
97

তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া: এ-স্বাদের সত্যি ভাগ হবে না! ‘কুল গুঁড়ো’! শহরাঞ্চলের বাসিন্দারা এমন নাম নাই শুনে থাকতে পারেন৷ তবে স্রেফ এই নাম শুনলেই জিভে জল আসতে বাধ্য, যদি আপনি জঙ্গলমহলের বাসিন্দা হন৷ হ্যাঁ, কিছুটা পরিশ্রম আর অনেকটা ভালবাসার মেলবন্ধনে ফি বারই পাকা কুলকে গুঁড়ো করে এই বিশেষ আচার বানিয়ে থাকেন জঙ্গলমহলের মা বোনেরা৷

আরও পড়ুন: তিহার জেলে অনেকের জন্য অপেক্ষা করছেন অনুব্রত মণ্ডল: Suvendu Adhikari

- Advertisement -

আরও পড়ুন: ‘শাসকদল কর্মসূচি নিলে প্রশাসন একরকম ভাবে, আর বিরোধী হলে প্রশাসন উলটো রাস্তা নেয় কেন’

ফি বারের মতো বৃহস্পতিবার ‘রাত গাজনে’র প্রাক্ সন্ধ্যায় দশের বাঁধের বাবা হংশেশ্বর গাজনে গিয়ে দেখা গেল সারি সারি বস্তায় করে কুল গুঁড়ো নিয়ে হাজির রানিবাঁধ, ঝিলিমিলি এলাকার আদিবাসী মহিলারা৷ বস্তুত, রাত গাজনের অন্যতম আকর্ষণও এই কুল গুঁড়ো৷ স্বভাবতই, শুরু থেকেই সেখানে ছিল আগ্রহী ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়৷ কারণ শুধুমাত্র চৈত্র সংক্রান্তিতে বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন এক্তেশ্বরের গাজন ও বৈশাখে দশের বাঁধের গাজনেই মেলে এই বিশেষ বস্তুটি। ফলে প্রায় সকলেরই সংগ্রহ করার তাড়া থাকে!

আরও পড়ুন: Panchayat Election : উন্নয়ন এখানে সোনার পাথরবাটি, জলটাও কিনে খেতে হয় আদিবাসী গ্রামে

আরও পড়ুন: স্বৈরাচারী মুখমন্ত্রী, মহিলা মোর্চার দায়িত্ব নিয়েই মমতাকে তোপ ফাল্গুনীর

ছাতনা থেকে শুধুমাত্র কুল গুঁড়োর টানে এই গাজনে ছুটে এসেছিলেন উত্তম কুমার চন্দ। তিনি বলেন, এই মেলার দু’দিন ছাড়া আর বছরভর কোথাও পাওয়া যায় না এই বিশেষ কুল গুঁড়ো৷ মূলতঃ চাটনি হিসেবেই ব্যবহার হয়। স্বাদ কেমন প্রশ্ন করায় প্রতিবেদকের উদ্দেশে তাঁর সহাস্য জবাব ‘খেয়েই দেখুন না’! সত্যি তো! কুল গুঁড়োর গন্ধ ততক্ষণে যে বাতাসেও ভাসছে!

আরও পড়ুন: অবসরের পরও মিলছে না পেনশন, থালা, বাটি হাতে ধর্নায় সরকারি কর্মীরা

আরও পড়ুন: একাকিত্ব থেকে প্রেম, ব্ল্যাকমেল করে ধর্ষণ, আটক যুবক

রানিবাঁধ এলাকা থেকে এই কুল গুঁড়ো বিক্রি করতে এসেছিলেন ফুলমনি হাঁসদা, বালিকা হেমব্রমরা৷ বললেন, এই কুল গুঁড়ো তৈরির পিছনে রয়েছে দীর্ঘ পরিশ্রম। জঙ্গল বা তার আশেপাশের এলাকা থেকে পাকা কুল সংগ্রহ করে তা রোদে শুকনো করতে হয়। শুকনো হয়ে যাওয়ার পর বাছাই শেষে ঢেঁকিতে গুঁড়ো করে চালুনীতে চেলে তা বিক্রির উপযুক্ত করতে হয়। মূলতঃ বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন এক্তেশ্বরে ও দশের বাঁধের বাবা হংশেশ্বরের গাজনে তাঁরা বিক্রি করেন বলে জানান।

আরও পড়ুন: Kolkata Metro: বড় খবর, শুক্রবার বাতিল কলকাতা মেট্রোর বহু ট্রেন

আরও পড়ুন: TET Scam: চাকরি প্রার্থীদের আশা জুগিয়ে ফের নজিরবিহীন নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

কিলো নয়, এখানে কুল গুঁড়ো বিক্রি হয় চৌঠি দরে৷ ১৬ চৌঠিতে এক পাই। এক পাই মানে এক কেজি৷ চৌঠি পিছু দাম মাত্র ৫ টাকা৷ স্বভাবতই, রাত যত বাড়ছে কুল গুঁড়ো সংগ্রহের ভিড়ও যেন ততই বাড়ছে!

আরও পড়ুন: Weather Forecast Today: এই জেলাগুলিতে আজও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভবনা, রইল বিস্তারিত