ফের নোট বাতিল! আবার কি কালো দিন ফিরছে? কি বললো আরবিআই

0
47

খাস প্রতিবেদন: ফের বাতিল হতে চলেছে নোট৷ তবে এবার শুধুমাত্র বাতিল করা হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট৷ তবু বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই জনমানসে ফিরেছে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের সেই কালো দিনের স্মৃতি? তবে কি আবার ফিরে আসবে সেই কালো দিন! স্বভাবতই, নোট বাতিলকে ঘিরে ফের নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে জনমানসে৷

আরও পড়ুন: অভিষেককে সিবিআই তলবের দিনেই ফের শহরের একাধিক জায়গায় ইডির হানা

- Advertisement -

এখানে উল্লেখ করা থাক, জাল নোটের বাড়বাড়ন্ত বন্ধ করতে আচমকাই ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে মোদী সরকার। যার জেরে সারা দেশে নেমে এসেছিল কালোদিন৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া দ্রুততার সঙ্গে বাজারে নিয়ে এসেছিল ২০০০ টাকার নোট৷ সরকারিভাবে দাবি করা হয়েছিল, জাল রুখতে ২০০০ টাকার এই নতুন নোটে থাকছে বিশেষ ‘চিপ’৷ স্বভাবতই, সেই বিশেষ নোট আচমকা কেন বাতিল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ যদিও এই বিষয়ে আরবিআই বা সরকারের তরফ থেকে স্পষ্ট কোনও বার্তা সামনে আনা হয়নি৷

আরও পড়ুন: প্রথম দশে নেই কলকাতা, ফেল করল ১ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী! উঠে আসছে অযোগ্য শিক্ষকদের প্রসঙ্গ

আরবিআই তরফে জানানো হয়েছে, আর ২০০০ টাকার নোট ছাপবে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷ বাজারে যে সমস্ত ২০০০ টাকার নোট রয়েছে তা তুলে নেওয়া হবে৷ এজন্য ২৩ মে থেকে ব্যাঙ্কে ২০০০ টাকার নোট জমা দিয়ে মিলবে অন্য নোট। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৈধ থাকবে ২০০০ টাকার নোট। এক সঙ্গে ব্যাঙ্কে ২০,০০০টাকা পর্যন্ত ২০০০টাকার নোট জমা দেওয়া যাবে৷ এই মুহূর্তে ভারতের বাজারে থাকা ২০০০ টাকার নোটের মোট আর্থিক পরিমাণ ২১, ৪২০ লক্ষ কোটি টাকা৷

আরও পড়ুন:আগমনী সুর বাজিয়ে নিকোবর দ্বীপে প্রবেশ করল বর্ষা, বাংলায় কবে? রইল বিস্তারিত

তবে বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, দু’হাজার টাকার নোট বাতিল হলেও তাতে জনমানসে বিশেষ কোনও প্রভাব পড়বে না৷ কারণ, এই নোট মূলত জনসাধারণের কাছে বিশেষ নেই৷ বরং এই নোটের দৌলতে সমস্যায় পড়ছিলেন বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা৷ তবে সবকিছু ছাপিয়ে উঠে আসছে একটাই প্রশ্ন, জাল রুখতে নয়া নোটে যদি চিপ লাগানোই থাকে তাহলে আচমকা তা কাদের স্বার্থে বাতিল করা হচ্ছে? এতে জনসাধারণেরই বা লাভ কি?

আরও পড়ুন: দক্ষ শিকারি , সাতাঁরে নাম-ডাক, তবুও এ যাত্রায় ব্যর্থ বাঘ মামা