ভরা কোটালে এক গলা জলে দিঘা থানা

0
87

কলকাতা ও দিঘা: দুর্যোগের জোলা ফলায় কার্যত নাস্তানাবুদ সমুদ্র উপকূলবর্তী দিঘা, মন্দারমণির বাসিন্দারা৷ বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে ভরা কোটালের মাঝেই ইয়াসের আগমন৷ সবমিলিয়ে বিপর্যস্ত সৈকত নগরী দিঘা৷ চোখের পলকে গার্ডরেল টপকে হু হু করে সমুদ্রের নোনা জল ঢুকতে শুরু করে দিঘা ও নিউ দিঘায়৷ ফলে প্লাবিত দিঘার বিস্তীর্ণ এলাকা। জলের কবল থেকে রেহাই মেলেনি পুলিশেরও৷ টেলিফোনে এক পুলিশ কর্তা জানালেন, ‘‘থানার সামনে একগলা সমান জল৷ ডুবে গিয়েছে চেয়ার, টেবিল৷ তারও মাঝেও চলছে উদ্ধারকার্য৷’’

আরও পড়ুন: ইয়াসের দাপটে উপড়ে যাওয়া গাছের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধের

- Advertisement -

প্রসঙ্গত, অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে সোমবার থেকেই দিঘা, মন্দারমনি এবাকায় শুরু হয়েছিল মৃদু থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত৷ ফলে বাড়ছিল জলের পরিমাণ৷ এদিন সকালে ভরা কোটালের জেরে পরিস্থিতি পালটে যেতে শুরু করে৷ সকাল সওয়া ন’টা নাগাদ ভরা কোটালের সময়েই শুরু হয় ইয়াসের দাপট৷ দুইয়ে মিলে প্লাবিত এলাকার বাজার-হাট, রাস্তাঘাট। গ্রামে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। সমুদ্রের নোনা জলে প্লাবিত সৈকত ঘেঁষা কয়েকটি হোটেলের গ্রাউন্ড ফ্লোর৷ উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী৷

আরও পড়ুন: জোড়া ফলায় দুর্যোগ ও দুর্ভোগ বাড়ল উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের

প্লাবিত কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের আমতলিয়া, হরিপুর, বগুড়ান জলপাই সহ একাধিক গ্রাম৷ যন্ত্র চালিত নৌকা দিয়ে মানুষদের উদ্ধার কাজ করছে প্রশাসন। অপর দিকে হলদিয়া পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড ঝিকুরখালি মৌজা, এরিয়া খালি মৌজা, নদীর পাড় ভেঙে জল চলে ঢুকে পড়েছে পুর এলাকায়। রাস্তার ওপর থই থই করছে জল, বাজারঘাট ডুবেছে সমুদ্রের নোনা জলে। হু হু করে ঢুকছে সমুদ্রের জল, ভাসছে মূল রাস্তা।
তথৈবচ হাল উত্তর ২৪ পরগণার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের গৌড়েশ্বর রায়মঙ্গল এলাকায়৷ গোমতী নদী বাঁধ ভেঙে বিভিন্ন জায়গায় জল ঢুকেছে৷ কালীনগর অঞ্চলের পুঁটিমারী সহ একাধিক জায়গায় নদী বাঁধ উপচে জল ঢুকছে গ্রামে। বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তৃর্ণ এলাকা৷


বসিরহাট মহকুমা সংগ্রামপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় প্রায় ১০০ ফুটের মতো বাঁধ ভেঙে প্লাবিত এলাকার গ্রামের পর গ্রাম৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধের কাজ শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা নবান্ন সূত্রের খবর, ইয়াসের দাপটে ৭০ কিলোমিটার নদীবাঁধ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙেছে ৫১ টি বাঁধ৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নামখানা, পাথরপ্রতিমা, গোসাবা-সহ ১৫ টি বাঁধ৷