জোড়া ফলায় দুর্যোগ ও দুর্ভোগ বাড়ল উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের

0
32

কলকাতা: নির্ধারিত সময়ের বেশ খানিকটা আগেই ওড়িশার (Odisha) বালেশ্বরের দক্ষিণে আছড়ে পড়ল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (YAAS)। ঘড়ির কাঁটায় তখন ৯.১৫৷ পূর্ণিমার প্রভাব ঠিক তখন থেকেই ছিল সমুদ্রে জোয়ার৷ ফলে একদিকে ভরা কোটাল অন্যদিকে ইয়াস, জোড়া ফলায় জোড়া ফলায় দুর্যোগ ও দুর্ভোগ বেড়েছে উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের৷ সমুদ্রের জল পাড় উপছে ঢুকে পড়েছে গ্রামের পর গ্রামে৷

আরও পড়ুন: হু হু করে ঢুকছে জল, পূর্ব মেদিনীপুরের গ্রামের পর গ্রাম জলের তলায়

- Advertisement -

ফলে পূর্ব মেদিনীপুরে দিঘা (Digha), শঙ্করপুর, মন্দারমণি, তাজপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, বকখালি প্রভৃতি এলাকার গ্রাম থেকে গ্রামান্তর কার্যত জল থৈ থৈ অবস্থা৷ দুর্যোগের দুর্ভোগে রীতিমতো নাকাল হতে হচ্ছে লক্ষাধিক মানুষকে৷ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কত তা এখনও স্পষ্ট নয় প্রশাসনের কাছেও৷

টেলিফোনে নবান্নের এক কর্তা বলেন, ‘‘ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সময় রয়েছে৷ এই মুহূর্তে সবার আগে প্রয়োজন মানুষগুলোকে রক্ষা করা৷ দুর্গত এলাকায় আগে থেকেই রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলার দল৷ তাঁরা উদ্ধারকার্য চালাচ্ছেন৷ আপাতত সেদিকেই আমরা মনোনিবেশ করেছি৷’’

মৌসম ভবন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সকাল ৯টা ১৫ মিনিট নাগাদ বালেশ্বরের (Baleswar) স্থলভাগে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইয়াস৷ এই প্রক্রিয়া চলবে টানা প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে৷ অতি শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার, কোনও কোনও এলাকায় তা ১৫৫ কিলোমিটার বেগেও বইছে বলে জানিয়েছেন মৌসম ভবন৷
এদিকে আজই পূর্ণিমা এবং চন্দ্রগ্রহণ থাকায় থাকায় সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকে ১১টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত জোয়ার রয়েছে৷ স্বভাবতই, অতি শক্তশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দাপটে সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা আরও বেড়ে গিয়েছে৷ তারই জেলে রাজ্যের উপকূল এলাকায় অর্থাৎ পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে। সমুদ্রের নোনা জলে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম৷ তবে আগে থেকে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় প্রাণ হানির শঙ্কা নেই বলেই জানাচ্ছে প্রশাসন৷