ত্রিপল চুরি ঘটনায় শুভেন্দুর গ্রেফতারি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

0
203

কাঁথি: কাঁথি পুরসভার ডরমেটরি গোডাউন থেকে ত্রিপল চুরির ঘটনায় গ্রেফতার অস্থায়ী কর্মীর আবারও পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক৷ ত্রিপল চুরির মামলায় এক নম্বরে নাম রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর৷ নাম আছে শুভেন্দুর ভাই তথা কাঁথি পুরসভার দু’বারের চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী ও কাঁথি পুরসভা কর্মী হিমাংশু মান্নার। ত্রিপল চুরির মামলায় ধৃত প্রতাপ দে’র জামিনের আবেদন নাকচ করে এদিন ফের তাঁকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

আরও পড়ুন: ফের কন্ডোম বির্তকে সায়নীকে জড়ালেন তথাগত

- Advertisement -

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁথি শহরে আউটডোর সংলগ্ন এলাকায় একটি জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে। ওই ট্যাঙ্কের তলায় থাকা গোডাউন ঘর থেকে সম্প্রতি রাতের অন্ধকারে সরকারি ত্রিপল চুরি করে গাড়িতে তোলা হচ্ছিল বলে অভিযোগ৷ তা দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা কাঁথি পুরসভার প্রশাসক সিদ্ধার্থ মাইতিকে জানান। খবর পেয়ে সিদ্ধার্থবাবু প্রশাসক মন্ডলীর অন্য সদস্যদের নিয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তদের আটকানো চেষ্টা করেন। অভিযুক্তরা অবশ্য পালিয়ে যায়৷

চুরির ঘটনার তদন্ত চেয়ে কাঁথি থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয় কাঁথি পুরসভা প্রশাসক মণ্ডলী সদস্য রত্নদীপ মান্না। তিনি থানায় অভিযোগ করে বলেন, “রাতের অন্ধকারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় সরকারি ত্রাণের ত্রিপল চুরি করা হচ্ছিল৷ ঘটনার প্রকৃত তদন্ত চাই৷’ ওই ঘটনায় নাম জড়ায় শুভেন্দু ও তাঁর ভাই সৌমেন্দুর৷ অভিযোগ পেয়ে কাঁথি থানার পুলিশ নড়েচড়ে বসে। ঘটনার যুক্ত থাকার অভিযোগ কাঁথি পুরসভা অস্থায়ী কর্মী প্রতাপ দে’কে গ্রেফতার করে। এদিন ফের ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিল পুলিশ৷ পুলিশ জানিয়েছে, শীঘ্রই বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করা হবে৷ সেক্ষেত্রে শুভেন্দু, সৌমেন্দুর ক্ষেত্রে পুলিশ কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেদিকে তাকিয়ে সব মহল৷ যদিও এবিষয়ে অধিকারী পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷