মুম্বই: তিনি পেয়েছেন আজ অনেক কিছুই। নামযশের পাশাপাশি মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। তবুও আজ তিনি প্রথম সারির অভিনেত্রী নন, এমনটাই মনে করেন বহু নেটিজেন। তবে এর পিছনে এক অন্যতম কারণ রয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নিজের কাজ নিয়ে খুশি নন অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া।
নিজেই জানিয়েছেন সে কথা। আর যে কাজ করছে সেই যদি আনন্দ না পায় তাহলে দর্শকের কি হবে? এমনটাই ধারণা সমালোচকদের একাংশের। পরিণীতি বলেছেন, ”এমন অনেক ছবিতে আমি কাজ করেছি, যেগুলি সুবিধাজনক সিনেমা নয় বোঝা সত্ত্বেও সেই ছবির শ্যুটিং চালিয়ে গিয়েছি।”
সম্প্রতি এক দৈনিক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, আমার অনেকগুলি ছবিই গত পাঁচ বছরে মুক্তি পেয়েছে। তবে আমি যে কাজগুলি করেছি সেগুলি নিয়ে অতটাও খুশি নই। আমার নিজের মধ্যে বিশ্বাস ছিল। কিন্তু পরিচালকরা যেগুলি নিয়ে আমার আগ্রহ ছিল সেগুলি আমাকে অফার করে না।
এই কারণে আমি পুরোপুরি মন থেকে ছবিগুলির জন্য সাক্ষর করতাম না। এই জন্যে আমি অসন্তুষ্ট ছিলাম। কিন্তু আমি চিরজীবন তিনজন পরিচালকের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। তাঁরা হলেন অমল গুপ্তা (সাইনা), দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায় (সন্দীপ ঔর পিঙ্কি ফারার) এবং ঋভু দাসগুপ্ত (দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন)।
তিনি কখনো পরিচালককে কোনো দৃশ্য সংশোধন করতে বলেছিলেন যা সম্পর্কে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন এই প্রশ্নের উত্তরে পরিণীতি বলেছিলেন, ”এমন হলে ছবিগুলি আরও ভালো হয়ে উঠত। নির্মাতাদের সঙ্গে দ্বিমুখী সম্পর্ক হয়নি। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এমন হয়েছে আমি ছবিটা খারাপ হবে বুঝতে পেরে মন খারাপ করে বাড়ি ফিরেছি”।
২০১১ সালে ‘লেডিস ভার্সেস রিরি বহেল’ ছবির মাধ্যমে সাপোর্টিং চরিত্র হিসাবে বলিউডে ডেবিউ করেন পরিণীতি। এরপর ‘ইশকজাদে’, ‘শুদ্ধ দেশি রোম্যান্স’, ‘হাসি তো ফাসি’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। চলতি বছরে ইতিমধ্যেই পরিণীতির তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছে।
‘দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন’,‘সাইনা’ এবং সন্দীপ ঔর পিঙ্কি ফারার’। ‘দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন’ মুক্তি পেয়েছিল নেটফ্লিক্সে। কিন্তু অন্য দুটি ছবি করোনার জন্যে সিনেমাহলে মুক্তি পায়নি। তবে ডিজিটালের বিভিন্ন স্ট্রিমিংয়ে মুক্তি পেয়েছে।
