‘বি থেকে ভবানীপুর, বি থেকেই ভারতবর্ষ’ : খাসতালুক থেকে দিল্লি দখলের ডাক মমতার

ব্যাঙ্গের সুরে বলেছেন, ‘‘ওদের জিজ্ঞেস করুন ত্রিপুরায় তো কালী পুজো পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছো৷ ১৪৪ ধারা মানে কি? চারজনের বেশি থাকতে পারবে না? তাহলে তো মা-দুর্গাই আসতে পারবে না! কারণ, তাঁর তো ছেলে মেয়েই চারটে৷ মা দুর্গাকে নিয়ে তো পাঁচজন হয়ে যাচ্ছে! তাহলে তো মা দুর্গা নিজেই আসতে পারবে না৷’’

0
24

কলকাতা: ভবানীপুর কেন্দ্রের উপ নির্বাচন ঘোষণা হওয়া ইস্তক প্রচারে বেরিয়ে সক্কাল থেকে রাত্তির পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের বিভিন্ন নেতারা দাবি করে চলেছেন- ‘‘উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বুঝতে পারছেন, হেরে যাবেন৷ তাই পুলিশ দিয়ে আমাদের প্রচার আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে৷’’ বুধের সন্ধ্যায় চেতলার সভা থেকে ভোটারদের উদ্দেশ্যে নেত্রীকেও দেখা গিয়েছিল কাতর আর্জি জানাতে৷

আরও পড়ুন: বিজেপি নেতাদের কান মুলে দেওয়ার হুঙ্কার তৃণমূল নেত্রীর

- Advertisement -

জুম্মাবারের সন্ধ্যায় অবশ্য চিত্রটা বদলে গেল৷ রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী কন্ঠে তৃণমূল নেত্রী তথা ভবানীপুরের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, ‘‘৩০ বছর যদি সিপিএমের সঙ্গে লড়তে পারি৷ তাহলে তোমাদের সঙ্গেও লড়তে পারি৷ ভবানীপুর থেকেই ভারতবর্ষ শুরু হয়৷ বি থেকে ভবানীপুর৷ বি থেকেই ভারতবর্ষ৷’’ খানিক থেমে যোগ করেছেন, ‘‘আমাদের ভয় দেখিয়ে, চমকে কোনও লাভ নেই৷ আমরা লড়াইয়ের মতো লড়াই করি৷ আমরা এজেন্সিকে ভয় পাই না৷’’

আরও পড়ুন:  বিপন্ন হাতির স্টোরি করতে গিয়ে লকগেটে প্রাণ খোয়ালেন সাংবাদিক

অসম থেকে শুরু করে দিল্লি, বিহার, উত্তরপ্রদেশ – সর্বত্র গণতন্ত্র লুন্ঠিত হচ্ছে, আইনের শাসন নেই, মানুষ বিজেপিকে হঠাতে জোট বাঁধছে জানিয়ে টেনে এনেছেন অসম কাণ্ড, ‘‘এনআরসির নামে কত লক্ষ মানুষকে খুন করেছে অসমে৷ কাল কি করল অসমে? মানুষগুলোকে কুপিয়ে কুপিয়ে খুন করে তাদের ডেড বডির ওপর নাচছো? তোমাদের লজ্জা করে না? বাংলার মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন করো৷ আজকেও তো দিল্লিতে গুন্ডামি করতে গিয়ে কোর্টে বিচারের জন্য যাওয়া তিনজনকে মারা হল৷ ইউপি, বিহারে কি কোনও আইন আছে? বিজেপি রাজ্যে কোনও আইন আছে?’’

বাংলায় আইন আছে, গণতন্ত্র আছে বোঝাতে এরপরই নেত্রী টেনে এনেছেন পুজোর প্রসঙ্গ, ‘‘এই তো দেখুন না, এখানেই রয়েছে মহিলা পুজোর ব্যানার৷ আমরা বাংলায় লক্ষাধিক পুজো করি৷ আর ওরা কি বলে বেড়ায়- মমতাজি পুজা নেহি ক্যারনে দে তা৷ লক্ষ্মী পুজো নেহি ক্যারনে দে তা৷’’ তীব্র কটাক্ষের সুরে ত্রিপুরার সরকারের ১৪৪ জারির প্রসঙ্গকে উত্থাপন করেছেন৷

ব্যাঙ্গের সুরে বলেছেন, ‘‘ওদের জিজ্ঞেস করুন ত্রিপুরায় তো কালী পুজো পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছো৷ ১৪৪ ধারা মানে কি? চারজনের বেশি থাকতে পারবে না? তাহলে তো মা-দুর্গাই আসতে পারবে না! কারণ, তাঁর তো ছেলে মেয়েই চারটে৷ মা দুর্গাকে নিয়ে তো পাঁচজন হয়ে যাচ্ছে! তাহলে তো মা দুর্গা নিজেই আসতে পারবে না৷’’ চারিদিকে হাসির রোল৷ তারই মাঝে নেত্রীও হাসি মুখে বললেন, ‘‘আরে অসুর তো ওপরে বসে আছে৷’’ কাকে উদ্দেশ্য করে একথা বললেন, তা অবশ্য পরের কথাতেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘‘২৪ আসতে দিন, দেশ থেকে অসুর বিদায় দেওয়া হবে৷’’