করোনার দাপট: পুজোয় আস্ত কৈলাশ তুলে আনছেন বিপ্লবীরা

0
33

খাস খবর ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তারপরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্‍সব। নীল আকাশে সাদা মেঘের হাতছানি শুরু হয়েছে। শরৎ-এর হিমেল বাতাস, কাশবনে কাশফুলের দোলা, ভোরের সোনালী আলোতে শিশির ভেজা শিউলি ফুলের সুভাস জানান দেয় শরতের শারদীয়া কড়া নাড়ছে।

আরও পড়ুনঃ মোদী রাজ্যে তালিবানি শাসন : কড়াইয়ের ফুটন্ত তেলে চোবানো হল কিশোরীর হাত

- Advertisement -

বনেদি বাড়ির পুজোগুলির পাশাপাশি বিগবাজেটের পুজোগুলিরও প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। করোনা অতিমারি সম্পূর্ণ ভাবে র্নিমূল না হলেও,অনেকটাই আয়ত্তে এসেছে। সেই কারণেই গতবারের তুলনায় এবারের শারদ উৎসব অনেকটা ভাল হবে বলে মনে করছে বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলি। তবে পুজোর বাজেটে অনেকটাই কাটছাঁট করতে হয়েছে।

আরও পড়ুনঃপ্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা, পাল্টা পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন প্রিয়ঙ্কা

উত্তর দিনাজপুর তথা উত্তরবঙ্গের অন্যতম সেরা দূর্গাপুজো উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের ” বিপ্লবী ” ক্লাবের সর্বজনীন পুজো। বিগবাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম একটি। এবছর তাদের পুজো ৫৩ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। করোনা আবহে দর্শনার্থীরা যাতে প্রতিমা মন্ডপের ভিতরে প্রবেশ না করে বাইরে থেকেই প্রতিমা দর্শন করতে পারেন সেই কারণে মুক্ত আকাশের নিচেই মন্ডপ তৈরির কাজ চলছে জোর কদমে।

সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখার জন্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকছে না কোনও বড় আড়ম্বর। তবে ছোট করেই থিম পুজো করা হবে। এবারের থিম কৈলাশ পর্বতের উপরে দেবাদিদেব মহাদেব বসে রয়েছেন। নিচে সপরিবারে দেবি দশভূজা।

বিপ্লবী ক্লাবের অন্যতম সদস্য সাংঙ্কিন দাস জানান, “করোনা আবহে আমরা খোলা আকাশের নিচেই কাল্পনিক থিমের আদলে মন্ডপ তৈরি করার চিন্তা-ভাবনা করেছি। থাকছে চন্দননগরের চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা। পুজোর দিন গুলিতে যাতে করোনা সংক্রামণ না ছড়ায় সেই কারণে রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুসারে, অটো স্যানেটাইজার মেশিন বসানো হবে। যারা মাস্ক পড়ে আসবে না তাদের মাস্ক প্রদান করা হবে। পাশাপাশি করোনায় মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকায় কোনও প্রকার চাঁদা সংগ্রহ করা হবে না। বিপ্লবী ক্লাবের সদস্যরা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাহায্যেই পুজো করা হবে।”