করোনার প্রভাব অটোমোবাইলে, বন্ধ গাড়ি উৎপাদন

0
221

নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ক্রমশ পড়ছে ভারতে। লকডাউন করা হচ্ছে গোটা দেশকে। এই ভাইরাসের জেরে এইমুহূর্তে স্থগিত হয়ে গিয়েছে অনেক কিছুই। স্থগিত হচ্ছে অটোমোবাইল শিল্পও।

করোনা ভাইরাসের জেরে সারা পৃথিবী জুড়ে বন্ধ অটোমোবাইল উৎপাদনের কাজ। ইতিমধ্যে ভারতে মারুতি সুজুকি, হুন্ডাই, টাটা মোটরস, এফসিএ ইন্ডিয়া, ভলভো, ওকনাওয়া, মহিন্দ্রা, ভক্সওয়াগেন সমস্ত সংস্থাই স্থগিত করেছে তাঁদের কাজ।

- Advertisement -

স্কোডা অটো ভক্সওয়াগেন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, সংস্থাগুলি তাঁদের কর্মচারী এবং সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত সম্ভাব্য পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করেছে। তাঁরা সরকারী কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকাগুলি এবং পরামর্শগুলি মেনে চলছে।

সংস্থার তরফ হেকে আরও বলা হয়েছে যে, একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সংস্থাটি ২০২০ সালের ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত সাম্প্রতিকভাবে সমস্ত উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও সংস্থাটি ভারত জুড়ে অন-সাইট কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অ-উৎপাদনের জায়গাগুলিতে কর্মীরা ব্যবসা সঠিকভাবে যাতে চলে তা নিশ্চিত করতে বাড়ি থেকেই কাজ করবেন। এছাড়া সংস্থা্র তরফ থেকে গ্রাহকদের সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে।

এই একই পথে হেঁটেছে আরও বহু অটোমোবাইল সংস্থা। ওকনাওয়া অটো টেক সংস্থা হরিয়ানাতে তাঁদের উৎপাদন স্থগিত রেখেছে। এই সংস্থাও তাঁদের কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে। ওকনাওয়া ছাড়াও হিরো রাজস্থানে তাঁদের উৎপাদনের কাজ বন্ধ রেখেছে । উৎপাদন বন্ধ রেখেছে হন্ডা, টিভিএস মোটরস এবং লহিয়াও।

একই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মহিন্দ্রা গ্রুপ। তাঁরা তাঁদের জাওয়া মোটরসাইকেলের কাজ বন্ধ রাখছে করোনার কারণে।

এই বিষয় সংস্থার সিইও আশীষ সিং জোশী জানিয়েছেন, এটি একটি নজিরবিহীন সময়। আমরা আমাদের গ্রাহক এবং আমাদের সঙ্গে নিযুক্ত লোকদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তাভাবনা করেই উৎপাদন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই আমরা আবার পিথামপুর উৎপাদন পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক করতে পারব। পিথামপুরে স্বাভাবিক সময়ে প্রতি মাসে ১০,০০০ মোটরসাইকেল উৎপাদন হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই একই ভাবে তাঁরা জাভা প্রেমিকদের কাছে দ্রুত বাইক সরবরাহ করতে পারবে বলে আশা করছে। সংস্থার তরফ থেকে সবাইকে নিরাপদে থাকার এবং কর্তৃপক্ষের সমস্ত নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

ইতিমধ্যে ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৪। মৃত ১০ জন।