তালিবানকে সাহায্য করছে পাক বায়ুসেনা, দাবি আফগান ভাইস-প্রেসিডেন্টে

0
137
প্রতীকী ছবি

খাসখবর ডেস্ক: তালিবানের হামলায় গোটা দেশে ছড়িয়ে আতঙ্ক। একের পর এক প্রদেশ নিজেদের দখলে নিয়ে নিচ্ছে জেহাদী গোষ্ঠী। দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ পাশাপাশি একাধিক মানুষ তালিবানের তাণ্ডবে বাসস্থান ছেড়ে অন্যস্থানে পাড়ি দিচ্ছে। এই সব পরিস্থিতির জেরে মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে চলেছে আফগানিস্তান।

এরই মাঝে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট। ভাইস প্রেসিডেন্টের দাবি, তালিবানদের সমর্থন করছে পাকিস্তান। জেহাদী গোষ্ঠীর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পাক বায়ুসেনা। একটু নেটের মাধ্যমে তিনি এই দাবি জানান।

- Advertisement -
প্রতীকী ছবি

আফগানিস্তানের ভাইস-প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, পাক বায়ুসেনা যথারীতি হুমকি দিয়েছে। তালিবানদের ওপর কোনো রকম হামলা করলে আফগান সেনা ও বায়ু সেনার ওপর হামলা চালাবে পাকিস্তান। পাশাপাশি জেহাদী গোষ্ঠীকে আকাশ পথে বিভিন্ন রকম সহায়তা করছে পাক বায়ুসেনা। টুইটে তিনি এ সমস্ত উল্লেখ করেন।

আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট এক সময় দেশের গোয়েন্দা প্রধান ছিলেন। একাধিকবার তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে তালিবান। প্রথম থেকেই তিনি পাকিস্তানবিরোধী বহু মন্তব্য করে এসেছেন। যদিও এই মন্তব্যের জেরে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি পাকিস্তানের পক্ষ থেকে।

একদিকে, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ভুল বলে মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি একেবারেই ভুল ছিল। এই সিদ্ধান্তের ফলে আফগানিস্তানের নিরীহ মানুষদেরকে তালিবানের হিংসার মুখে পড়তে হচ্ছে। শুধু তাই নয় অনেক নিরীহ মানুষকেই মৃত্যুর মুখে পড়তে হচ্ছে। পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষ নিজেদের বাসস্থান ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।”

প্রতীকী ছবি

অন্যদিকে, সেনা প্রত্যাহারের সুযোগ নিয়ে গোটা আফগানিস্তান দখলে তৎপর হয়েছে জিহাদি গোষ্ঠী। একাধিক প্রদেশের পাশাপাশি এদিন সকালে আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সেনাঘাঁটি স্পিন বলডাক ও দখল করেছে তালিবান। আফগানিস্তানে আর কোনও বন্দর না থাকায় দেশের সমস্ত ধরনের বাণিজ্য, আমদানি-রফতানি নির্ভরশীল পাকিস্তানের দক্ষিণের বন্দর করাচির ওপর। আর এই করাচি বন্দরে পৌঁছানোর জন্য একমাত্র রাস্তা সেনাঘাঁটি স্পিন বলডাক। এবার এই সেনা ঘাঁটি দখলের ফলে দেশের সমস্ত আমদানি-রফতানিতে বাঁধা পড়বে। যার জেরে বেশ সংকটে পড়বে গোটা দেশ।

উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা শুরু হয় চলতি বছরের ১ মে থেকে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই সব সেনা প্রত্যাহার শেষ করার কথা রয়েছে। সেই সময় আফগানিস্তানে দুই হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা এবং সাত হাজার ৫০০ ন্যাটো সেনাসদস্য অবস্থান করছিলেন।