খাসখবর ডেস্ক: সীমান্তে উত্তেজনাকে ঘিরে দ্বিতীয়বার তাজিকিস্তানে মুখোমুখি হল দুই দেশ। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর ও চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সীমান্তের শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বৈঠকে উপস্থিত হয়ে ছিলেন। তবে এই বৈঠক ঘিরে আশা প্রকাশ করেছেন জয়শংকর।
প্রসঙ্গত, এর আগে লাদাখে সীমান্তে ড্রাগনের আগ্রাসন নিয়ে ভারত চিনের সমস্যা সমাধানে গত সেপ্টেম্বর মাসে মস্কোয় বৈঠক করেছিলেন তাঁরা। আগের বৈঠকে বেশ কিছুটা সমাধান ও হয়েছিল। বৈঠকের পরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রন রেখার কাছে বেশ কিছু এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছিল।
Concluded a one-hour bilateral meeting with State Councilor and FM Wang Yi of China on the sidelines of Dushanbe SCO Foreign Ministers Meeting.
Discussions focused on the outstanding issues along the LAC in the Western Sector. pic.twitter.com/YWJWatUErI
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) July 14, 2021
এরপর লাদাখ নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা দেওয়ার পরেই বেজিং কিছুটা সুর নরম করেছিল। সেনাপ্রধান চিনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আগে জানিয়েছিলেন যে, গালওয়ানে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষের পর চিন বুঝতে পেরেছে পাহাড়ি ও দুর্গম বরফ ঢাকা অঞ্চলে তাঁদের আরও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। তবে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) কাছে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি না হলেও ফের সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে চিন।
যদিও এর আগে গত বছর জুন মাসে সীমান্তের তীব্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের সেনা। ওই সংঘর্ষের জেরে ভারতের নিহত হন প্রায় ২০ জন সেনা নিহত হন। চিনেও বেশ কয়েক জন সেনা নিহত হয়েছে। এরপর প্রায় নয় মাস ধরে লাদাখ সীমান্তে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকে দুই দেশের সেনা। বুধবার একাধিক বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়। এপ্রসঙ্গে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীই স্থির করেন, দ্রুত বৈঠকের মাধ্যমে এর সমাধান খুঁজতে হবে। পাশাপাশি বৈঠকের পর চিনামন্ত্রীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন জয়শংকর।
এই বৈঠকের ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন যে, গত এপ্রিলের আগে তুই দেশের সেনা সীমান্তের যে স্থানে অবস্থান করেছিল, তাদের আবার সেই স্থানে ফিরে যেতে হবে। সীমান্তে শান্তি বজায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বিতর্কিত অঞ্চল থেকে সেনাদের পিছিয়ে নিতে হবে। যদিও চিনএই শর্তে একমত হয়নি। সেই কারণেই হয়তো কোনো রকম সমাধান এই বৈঠক থেকে পাওয়া যায়নি বলেই মনে করছেন অনেকে।
তবে হয়তো আরও একবার বৈঠকে বসতে পারেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বিভিন্ন বিতর্কের মধ্যেই একটি বিষয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ। দুই দেশেই স্বীকার করেছে যে, সীমান্তে সংঘর্ষের জেরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক দিন দিন আরো খারাপ হচ্ছে। পাশাপাশি দুটি দেশ কেই কম বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছে। এই সমস্ত সমস্যার দ্রুত সমাধান চাইছে ভারত-চিন।