চিনকে ছেড়ে পোশাকের জন্য ভারতের উপর নির্ভরশীল হচ্ছে একাধিক দেশ

0
335
India-China

খাস ডেস্ক: চিনে কোভিড লকডাউনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে বিশ্বের অনেক দেশ এখন পোশাক কেনাকাটার জন্য বিকল্প খুঁজছে। জামা কাপড় হোক বা যে কোনও পণ্যদ্রব্য চিনার বিকল্প খোঁজা মুশকিল। তবে এবার বিকল্প হিসেবে ভারতের নাম উঠে আসছে। চেক প্রজাতন্ত্র, মিশর, গ্রিস, জর্ডান, মেক্সিকো, স্পেন, তুরস্ক, পানামা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলি জামাকাপড় কেনার জন্য চিনের পরিবর্তে ভারতীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।

নয়ডা অ্যাপারেল এক্সপোর্ট ক্লাস্টারের প্রেসিডেন্ট ললিত ঠুকরাল বলেছেন, স্প্যানিশ ভিত্তিক গার্মেন্টস কোম্পানি Sotorevs SL চায় ১ লক্ষ পিস টাই অ্যান্ড ডাই এবং প্রিন্টেড শার্ট। তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার আরেকজন ক্রেতা যার ১৮০ টি দোকান রয়েছে, মহিলাদের পোশাক কিনতে চায়, এবং গ্রিসের একজন ক্রেতা পুরুষের পোশাক চায়।” বলা বাহুল্য যে, নয়ডা অ্যাপারেল এক্সপোর্ট ক্লাস্টারের ৩,০০০ ইউনিট রয়েছে, বার্ষিক লেনদেন ৩৫ হাজার কোটি এবং এখানে প্রায় ৯ লক্ষ লোক কর্মরত। চিন সম্প্রতি দুই মাসের লকডাউনের পর সাংহাই সহ অনেক শহরে কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করেছে।

- Advertisement -

আরও পড়ুন: ইউক্রেনের উপর আক্রমণ বন্ধ করো, পুতিনকে অনুরোধ পেলের

কিন্তু চিনের জিরো কোভিড নীতি অব্যাহত রয়েছে। এই কারণেই ক্রেতারা এখনও চিন নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। নয়ডা এক্সপোর্ট ক্লাস্টারে নতুন ক্রেতাদের আগমন তিরুপপুর গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারারদেরও আশা জাগিয়েছে। তিরুপপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজা শানমুগাম বলেছেন যে, “আমরা ভারতে বোনা পোশাকের সবচেয়ে বড় প্রস্তুতকারক। যদি তারা নয়ডায় আসে, তারাও আমাদের কাছে আসবে। আমাদের একমাত্র উদ্বেগ ক্রমবর্ধমান তুলার দাম, যা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পণ্য সরবরাহকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে তুলার উচ্চ মূল্য রপ্তানির সুযোগ কমিয়ে দিচ্ছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতীয় নির্মাতাদের জন্য একটি বিশাল বাজার খুলে গিয়েছে।”

আরও পড়ুন: বার্সেলোনা সতীর্থের মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক পিকে -র, বিচ্ছেদ চাইছেন শাকিরা

FY22 সালে ভারত তার সর্বোচ্চ টেক্সটাইল এবং পোশাক রপ্তানি ৪৪.৪ বিলিয়ন ডলার রেকর্ড করেছে, যা FY21 এর তুলনায় ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শেয়ার সম্পর্কে কথা বললে, আমেরিকা ২৭ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে ছিল। এরপরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৮ শতাংশ, বাংলাদেশ ১২ শতাংশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ৬ শতাংশ।