লন্ডন: ফের দাপট দেখাতে শুরু করেছে করোনা। বিশ্ব জুড়েই দেখা যাচ্ছে এই সমস্যা। এ হেন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে লড়াই শুরু করেছে সকল রাষ্ট্র। করোনার কারণেই ভারত সফর বাতিল করেছেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এবার ওই একই কারণে ভারত নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল ওই দেশের প্রশাসন। ভারতকে ‘লাল তালিকা’ভুক্ত করল রানির দেশ।
আরও পড়ুন- শুধু কলকাতায় একদিনে ১২ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত ২,২১১
করোনার মোকাবিলার জন্য একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ব্রিটেন। সেই পথেই ভারতকে লাল তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সংসদে দাঁড়িয়ে এই কঠিন এবং কড়া সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ওই দেশের সাংসদ হ্যানকক।
আরও পড়ুন- রাজ্যে ফের একদিনে ৩৮ জনের মৃত্যু,আক্রান্ত সাড়ে ৮ হাজার
নয়া নির্দেশিকা অনুসারে ভারতের কোনও ব্যক্তি আর ব্রিটেনে প্রবেশ করতে পারে না পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত। একই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের জন্যেও। এই তিন রাষ্ট্রের যে সকল ব্যক্তি ব্রিটেনে রয়েছেন তাঁদের ১০ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকতে হবে নিজের খরচে। করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নেওয়ার কারণেই এই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংসদ হ্যানকক।
ব্রিটেনের যে সকল নাগরিক এই মুহূর্তে ভারতে রয়েছেন তাঁদের নিজের দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে অবশ্য কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। স্বাভাবিক নিয়মেই ব্রিটেনে যেতে পারবেন ভারতে থাকা ওই দেশের নাগরিকেরা। একই সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা বা আইরিস নাগরিক যারা ভারতে রয়েছেন। তাঁদের ক্ষেত্রেও জারি করা হয়েছে একই নিয়ম। ব্রিটেনের নাগরিকদের মতো তাঁরাও ওই দেশে প্রবেশ করতে পারবেন কোনও প্রকার জটিলতা ছাড়াই।
আরও পড়ুন- ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে রাজ্যের ৪ পুলিশ অফিসারকে বদলি কমিশনের
অন্যদিকে, করোনা আতঙ্কে শেষ পর্যন্ত ভারত সফর বাতিল করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে দেশে আসার কথা ছিল তাঁর। ভারতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও আরও কিছু কর্মসূচি ছিল তাঁর। করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য বরিস এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিদেশমন্ত্রক (এমইএ) আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতের করোনা মহামারির বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে উভয় দেশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে করোনার জেরে বরিসের সফর বাতিল হলেও দু’দেশ শীঘ্রই ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- উঠে গেল বয়সসীমা, ১৮-র উর্ধ্বে সবাই পাবে ভ্যাকসিন
উল্লেখ্য, গত বছরের এই সময়েই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বরিস জনসন। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও থাকতে হয়েছিল তাঁকে। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছিল থাকে। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও বেশ কিছুদিন ছিলেন হোম আইসোলেশনে।