খুনের মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে ফেরানোর ওপর স্থগিতাদেশ আদালতের

0
84

খাস ডেস্ক: জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের খুবই কাছের চারজন নেতাকে হত্যার ঘটনার যুক্ত ছিল প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত। খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকা অভিযুক্তকে ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফাতার করে মালয়েশিয়া পুলিশ। আর তারপরেই অভিযুক্তকে শীঘ্রই বাংলাদেশে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানায় মালয়েশিয়া পুলিশ।

কিন্তু মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের স্থগিতাদেশের আদেশ দেয় মালয়েশিয়া হাইকোর্ট। অভিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের স্ত্রীর আবেদনের জেরেই মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি। পাশাপাশি বিচারপতি মোহাম্মদ জাইনি মাজলান জানান যে, আগামী আগামী ২০ মে মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

- Advertisement -

আরও পড়ুন-‘দ্বিতীয় কিম জং উন চান কিনা’ সেই সিদ্ধান্ত ভোটারদের নিজেকে নিতে হবে, BJP-কে তীব্র খোঁচা Rakesh Tikait-এর

প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মাসে নৃশংসভাবে খুন হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই ঘটনার প্রায় কয়েকমাস পর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতির পিতার খুব কাছের চার নেতা তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলিকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। ওই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন প্রাক্তন সেনা আধিকারিক খায়রুজ্জামান।

যদিও ২০০৭ সালে অভিযুক্তকে দেশের জাতীয় চার নেতাকে খুনের জন্য পুরস্কৃত করে মালয়েশিয়ায় রাষ্ট্রদূতের ভুমিকায় পাঠায় বাংলাদেশে সরকার। এরপর ২০০৯ সালে ভোটে জিতেই খায়রুজ্জামানকে দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করেই মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছিল অভিযুক্ত। এক যুগের বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়াতে শরণার্থী হিসেবেই ছিল খায়রুজ্জামান।

আরও পড়ুন-অস্তিত্বের সংকটের মুখেও জাতিগত শুদ্ধতার ধারণা আঁকড়ে থাকতে চান দিল্লির পার্সিরা

অবশেষে সম্প্রতি বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের অনুরোধে ও মালয়েশিয়া পুলিশের তৎপরতায় ৯ ফেব্রুয়ারি কুয়ালালামপুরের আম্পাং এলাকা থেকে খায়রুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়, এরপর অভিযুক্তকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ারও তোড়জোড় শুরু করে মালয়েশিয়া পুলিশ।

যদিও এই তোড়জোড়ে ব্যঘাত ঘটায় জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের পদাধিকারীরা। পাশাপাশি স্বামীকে ফাঁসির হাত থেকে বাঁচাতে মালয়েশিয়া আদালতের দ্বারস্থ হয় ধৃতের স্ত্রী রীতা রহমান। সেই মামলায় এবার ধৃতের বাংলাদেশে ফেরানোর ওপর স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।