‘রবীন্দ্রনাথ বহিরাগত’ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য

0
1618

বোলপুর: বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত, তখন রবীন্দ্রনাথকে বহিরাগত বলে বিতর্কের আগুনে ঘি দেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী৷ সেই মন্তব্যের জন্য এবার ক্ষমাপ্রার্থী তিনি৷ শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথকে বহিরাগত বলার জন্য ক্ষমা চান উপাচার্য৷ যদিও তাঁর দাবি, ওই মন্তব্যের ভুল ব্যাখা করা হয়েছে৷

১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কবিগুরু৷ পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে বিবাদ যখন চরমে সেই সময় উপাচার্য বলেছিলেন, বাইরে থেকে বোলপুরে এসে রবীন্দ্রনাথ এই শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন৷ অর্থাৎ তিনি রবীন্দ্রনাথকেও বহিরাগত বলতে চান৷ উপাচার্য আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কথাটি বলেছিলেন৷

- Advertisement -

গত মাসে পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির তৈরি হয়৷ ওই পাঁচিল তৈরিতে বাধা দেয় স্থানীয়রা৷ পাঁচিল ভেঙে দেওয়া হয়৷ এরপর ক্যাম্পাসে ঢুকেও ভাঙচুর করা হয়৷ জিনিসপত্র লুঠ করা হয়৷ তৃণমূল বিধায়ক এবং স্থানীয় নেতারা গণ্ডগোলের পিছনে রয়েছে অভিযোগ করে ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করা হয়েছিল বিশ্বভারতীর তরফে।

তখনই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, গণ্ডগোলের পিছনে বহিরাগতরা রয়েছে৷ তখনই উপাচার্য ওই মন্তব্যটি করেছিলেন৷ তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা৷ তারপরই সুর নরম করেন উপাচার্য৷ শুক্রবার তিনি বলেন, আমি গভীরভাবে দুঃখিত৷ তিনি শান্তিনিকেতনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীকভাবে জড়িত৷ তবে একই সঙ্গে তিনি সেদিনের বক্তব্য পুরো শোনার কথা বলেছেন৷ তিনি জানান, পুরো বক্তব্য শুনলেই বোঝা যাবে ঐতিহাসিক ও ভৌগলিক উদাহরণ তিনি দিতে চেয়েছিলেন৷