Excusive: “মা চাননি আমি ছবিতে কাজ করি,” অভিনেত্রী মুনমুন সেন

0
5042

 

খাস ডেস্ক: অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনকে নিয়ে বাঙালির কৌতুহল চিরদিনের। সত্তরের দশকে পর্দায় কার্যত একচেটিয়া রাজত্ব করেছেন মহানায়িকা। কন্যা মুনমুন সেনের সঙ্গেও তাঁর মধুর সম্পর্ক ছিল বলে বারম্বার স্বীকারক্তি দিয়েছেন সুচিত্রা তনয়া খোদ। তবে কন্যা ‘মুন’-এর অভিনেত্রী মুনমুন সেন হয়ে ওঠার ব্যাপারে কি মত ছিল মহানায়িকার? সম্প্রতি খাস খবরকে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাতকারে এ বিষয়ে খোলসা করলেন অভিনেত্রী মুনমুন সেন।

- Advertisement -

তিনি খাস খবরকে জানান, কন্যা ‘মুন’-এর ছবি করার খবরে সুচিত্রা সেন এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে ৩ মাস তাঁর সঙ্গে কথা বলেননি। অভিনেত্রী বলেন, “মা চাননি আমি ছবিতে কাজ করি। আমি নিজেও কখনও ভাবিনি যে চলচিত্রে কাজ করব। স্বয়ং রাজ কাপুর চেয়েছিলেন আমি ছবিতে কাজ করি কিন্তু মা তাঁকেও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।” সুচিত্রা তনয়া আরও জানান, যে ৩ মাস মা-মেয়ের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলেছিল সে সময়ে তিনি যখন সুচিত্রা সেনের বাড়ি যেতেন তখনও তাঁদের মধ্যে কথা হতনা। যদিও মহানায়িকা তাঁর দুই নাতনির সঙ্গে খেলতেন। অভিনেত্রীর কথা থেকে দিদিমা এবং নাতনিদের মধ্যে সম্পর্ক কতটা মধুর ছিল, তার একটা আভাস পাওয়া যায়।

তবে বরফ গলতে শুরু করে যখন অভিনেত্রী মুনমুন সেন অরুন্ধতী দেবীর ‘দীপার প্রেম’ বলে ছবিটি সই করেন। মহানায়িকা কন্যা বলেন, “মা তখন বলেছিলেন যে এখন তিনি নিশ্চিন্ত যে আমি ভালো ভাবে কাজ করবো।”

এই বিশেষ সাক্ষাতকার থেকে মহানায়িকার ব্যাপারে অনেক অজানা তথ্য জানা যায়। কেমন ছিল সুচিত্রা সেনের বাংলা চলচিত্র জগতের প্রতি মনোভাব? সুচিত্রা সেনের আদরের কন্যা ‘মুন’ জানাচ্ছেন, মহানায়িকা চাইতেন না যে তিনি বাংলা ছবিতে কাজ করেন। তিনি চাইতেন মুনমুন সেন যেন হিন্দি চলচিত্র জগতে কাজ করেন। তবে সুচিত্রা দেবীর সঙ্গে শ্যুটিং-এর সব অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতেন বলে জানান অভিনেত্রী।

সুচিত্রা সেনের কন্যা হওয়ার সুবাদে চলচিত্র জগতের পথ কী একেবারেই মসৃণ ছিল মুনমুন সেনের? খাস খবরকে অভিনেত্রী বলেন, “পথ একেবারেই মসৃণ ছিল না। আমার উচ্চারণে দোষ ছিল। তাই নিয়ে অনেক সমালোচনা সহ্য করেছি।”

অন্যদিকে, মুনমুন সেনের দুই কন্যা রাইমা এবং রিয়া সেন যখন ছবি করতে চান, মা হিসেবে কী মেনে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী? মুনমুন বলেন, “একদমই না। আমি আমেরিকা ছিলাম। স্বামী জানালেন রিয়া মুম্বইতে আছে কাজ করার জন্য। আমি প্রচণ্ড রেগে যাই কারণ সে সময়ে ওর বয়স পনেরো ছিল। আমিও মায়ের মত রেগে গেছিলাম। মেনে নিইনি।”

তিন প্রজন্ম চলচিত্র জগতের সঙ্গে জড়িত হওয়ার কারণে সেন পরিবার দেখেছে চলচিত্র জগতের তিনটি যুগ। আর যে পরিবারের সদস্য ছিলেন স্বয়ং মহানায়িকা, সে পরিবারে হাজারো কাহিনী থাকবে এটাই স্বাভাবিক।