নিয়তি কি কেড়ে নিল নিলাদ্রীকে, ডাকাত দলের পরিকল্পনাতেই ছিল না ব্যারাকপুরের ছোট্ট সোনার দোকানটি

0
43
barrackpur dacoity arrest

ব্যারাকপুরঃ বার বার বাঁধা পাচ্ছিল। ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির (barrackpur dacoity) ঘটনার নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার ১ দিন আগে অর্থাৎ চলতি মাসের ২৩ তারিখ হাওড়ার একটি বড় জুয়েলারি দোকানে দুষ্কৃতীরা ডাকাতি করতে যায়। বৃষ্টির জন্য ফেল হয়ে যায় সেটি।

আরও পড়ুন :বেসরকারি ব্যাঙ্কের নামে ভুয়ো অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার, সাইবার প্রতারণার শিকার পুলিশ আধিকারিকের আত্মীয়

- Advertisement -

২৩ তারিখে ব্যর্থ। ২৪ তারিখ একই দোকানে ফের ডাকাতির পরিকল্পনা। কিন্তু কপাল খারাপ। সকালে দোকান বন্ধ। পাশাপাশি এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত হাওড়ার দোকানে ডাকাতির পরিকল্পনা বাদ দেয় ডাকাত দলটি। সেইসঙ্গে ঠিক করে, ওই দিনই কোন না কোন দোকানে ডাকাতি করা হবে। এরপরই ব্যারাকপুর আনন্দপুরী ওল্ড ক্যালকাটা রোডের ছোট পরিসরের দোকানকে বেছে নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা । তাতে বাঁধা পেয়ে দ্বিতীয়বার ভাবেনি ডাকাত দল। ডাকাতি সফল করতে গুলি চালিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা । যে গুলিতে মৃত্যু হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলে নীলাদ্রি সিংহের। ঘটনায় পিছনে যে ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীদের যোগ রয়েছে তাও পুলিশ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন :মুখ্যমন্ত্রীর পাড়াতেই সভা তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশনের, পাল্টা চ্যালেঞ্জ? উঠছে প্রশ্ন

এই ঘটনায় (barrackpur dacoity)  ইতিমধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত ২ জনের মধ্যে ১ জন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। সূত্রের খবর তদন্তে নেমে আরও বেশ কয়েকজনের নাম পুলিশের হাতে এসেছে। জানা গিয়েছে তারা বিহার ও উড়িষ্যার বাসিন্দা। খুন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুস্কৃতীরা একটি ব্যাগ ফেলে গিয়েছিল । যে ব্যাগের মধ্যে কিছু ভেজা জামাকাপড়, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও একটি মোবাইলও ছিল। সেই মোবাইল এবং মোটরবাইকের সূত্র ধরেই পুলিশ দুষ্কৃতীদের দুজনকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে পেরেছে বলে মনে করা হচ্ছে । শুধু তাই নয় বাকি দুষ্কৃতীদেরও সন্ধান ইতিমধ্যেই পুলিশ পেয়েছে। পুলিশ সূত্রে আরও খবর ঘটনায় ধৃত সফি খানের কামারহাটিতে বাড়ি হলেও বর্তমানে রহড়া পাতুলিয়ায় একটি অভিজাত আবাসন ভাড়া নিয়ে সেখানেই সে থাকছিল । তার বিরুদ্ধে আগেও ডাকাতির অভিযোগ ছিল । অন্যদিকে জামসেদ আনসারি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা । সম্পর্কে সফি’র মামা হয় সে। কয়েকদিন আগেই সে এই রাজ্যে আসে। তাঁর সঙ্গে কামারহাটির পুরনো যোগাযোগ থাকায় সেখানে সে থাকছিল।