দুয়ারে টর্নেডো, দিঘায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত একাধিক গ্রাম, গৃহহীন শতাধিক পরিবার

0
174

মিলন পণ্ডা, কাঁথি: বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের জেরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরির সমুদ্র বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হল একের পর এক গ্রাম। শুক্রবার বিকেল থেকে ঝড়বৃষ্টি ও প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার ফলে সমুদ্র বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে জল। সন্ধ্যায় পর থেকেই খেজুরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা, নিজকশবা ও জনকা বিস্তীর্ণ গ্রাম প্লাবিত হয়। প্রশাসনের তরফ থেকে মানুষকে আইলা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একাধিক মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। যদিও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খেজুরিতে এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসনের আধিকারিকরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে শুক্রবার বিকেল থেকে দিঘা, মান্দারমনি, তাজপুর সহ সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় পরিদর্শনে আসেন ডিআইজি পশ্চিমাঞ্চল প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে, কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা, মান্দারমনি উপকূল থানার ওসি অনুষ্কা মাইতি, দিঘা থানার ওসি বুদ্ধদেব মাল সহ পুলিশ আধিকারিকরা। সমুদ্র উপকূল বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন৷ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সমুদ্রে স্নানে নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

- Advertisement -

ডিআইজি (পশ্চিমাঞ্চল) প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ” গাইডলাইন মেনে কাজ করতে বলা হয়েছে৷ এমন কাজ যাতে না কেউ করেন যাতে ঝুঁকি তৈরি হয়। সমুদ্র স্নানে নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সমস্ত অফিসার মিলে একটি টিম করে কাজ করছি। আমরা সতর্ক রয়েছি। আমি পূর্ব মেদিনীপুর এসপি কে নিয়ে কোস্টাল এলাকাগুলো পরিদর্শন করলাম। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও মজুত রয়েছে৷”

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সমুদ্ভব দাস বলেন, ” এক সপ্তাহ আগে জোয়ারে পড়ে কিছুটা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই ঝড়ো হাওয়া ও তুমুল বৃষ্টির ফলে জল কিছুটা লোকালয় দিয়ে ঢুকে পড়েছে। কিছু মানুষকে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশাসনের কাছে দুটো বাঁধ নির্মাণ জন্য আর্জি জানানো হয়েছে৷” পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকেই দুষেছে বিজেপি। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার দোলুই বলেন ” প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়নি। কিন্তু টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। পুরনো বাঁধ মেরামতি করেই কোনরকম চালানো হচ্ছিল। তার খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ৷”

আরও পড়ুন: ৫ কোটি দিয়েও পাননি কাজের বরাত, গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন কেষ্ট