করোনার দাপটে বিসর্জনে এবার আর মিলন হবে না দুই বাংলার

0
35

বসিরহাট: করোনা কেড়ে নিল দুই বাংলার মিলন। দশমী বিসর্জন নদীতে হলেও করোনার জন্য দুই বাংলার মানুষ আর এক হতে পারবে না। এই বার্তা পৌঁছে যেতেই মন খারাপ দুই দেশেরবাসীদের।

আরও পড়ুন-ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার দায় কার, জানাল ডিভিসি

- Advertisement -

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। এই দুর্গাপুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই বাংলার মানুষ সীমান্ত ভেদাভেদ ভুলে একত্রিত হন। দুই বাংলার মহিলারা একদিকে যেমন সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে আনন্দ উপভোগ করতেন অপরদিকে সাধারণ মানুষেরা ও মিষ্টিমুখ ও বিভিন্ন ধরণের খাবার বিতরণের মধ্য দিয়ে আনন্দ উপভোগ করতেন। প্রতিবছর হাসনাবাদের টাকি পর্যটন কেন্দ্র ইছামতী নদীতে নৌকোয় করে প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে এই রকম আনন্দে মেতে উঠতেন দুই বাংলার মানুষেরা।

বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিডিআর ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ দের নজরদারি থাকতো কড়া। কিন্তু করোনা আবহে শুধু বিসর্জন টুকুই হবে ইছামতী নদীতে। কিন্তু দুই বাংলার মানুষ আর এক সঙ্গে মিলিত হতে পারবে না। করোনার জন্য টাকির এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিমা বিসর্জনে নতুন নিয়ম নিয়ে আসা হয়েছে। ইছামতী নদীর ভারতীয় সীমান্তের দিকে শুধুমাত্র পুজো উদ্যোক্তারা একেকটি নৌকোতে একটি করে প্রতিমা আট জন মানুষ থাকবে। যারা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করতে পারবে না।

আরও পড়ুন-বাংলায় স্কুল খোলা নিয়ে বিকাশ ভবন থেকে মিলল বড় ইঙ্গিত

অপরদিকে, বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে বাংলাদেশীরা ঠিক একইভাবে নৌকোতে করে প্রতিমা নিয়ে বিসর্জন করবে। তারাও ভারতীয় সীমান্তে আসতে পারবে না। আর এই ইছামতী নদীতে প্রতিমা বিসর্জন করার জন্য আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। যারাই নথিভুক্ত করবে তারাই শুধুমাত্র নদীতে বিসর্জনের অনুমতি পাবে। বাকিরা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে বিসর্জন উপভোগ করবে।

তবে সেটা করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে। দুই দেশের পক্ষ থেকে এমনটাই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর মন খারাপ হাসনাবাদ ও টাকি পুজো উদ্যোক্তাদের। এই বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দুই বাংলার মানুষ একত্রিত হতো। সেটা আর হবে না। শুধুমাত্র নদীর এই পাড়ে দাড়িয়ে ওই পারের বিসর্জন দেখতে হবে এবার বাংলাবাসীদের।