দলবদলুদের কড়া বার্তা, চলছে বেসুরোদের বহিষ্কারের পালা

0
25
tmc

বাঁকুড়া: দলবিরোধী কাজের অভিযোগ। দুই তৃণমূল নেতা-নেত্রীকে বহিষ্কার করল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য কমিটির নির্দেশে এই দুই নেতা নেত্রীকে আগামী ছবছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে, শান্তিপুরেও দুটি ওয়ার্ডে দল ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে নাম লেখানোর জন্য দুই তৃণমূল কর্মীকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ গরু পাচার মামলার মাঝেই কয়লা কাণ্ডে ২০০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

- Advertisement -

এই বিষয়ে, বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহমহাপাত্র বলেন, ‘দলীয় নির্দেশ অমান্য করে বাঁকুড়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দিলীপ আগরওয়াল ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে অনন্যা রায় চক্রবর্ত্তী দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে পুর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। রাজ্য কমিটির নির্দেশে এই দুই নেতা নেত্রীকে আগামী ছবছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে প্রশ্ন উঠছে, এই দুই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা যদি নির্বাচনে জেতেন তখন কি তাঁদের ফের দলে নেওয়া হবে? এর উত্তরে সভাপতি বলেন, সেরকম কোনঅ সম্ভাবনা নেই। তবে, এই বিষয়ে সিদ্ধান্তের বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্ব নেবেন বলেও তিনি জানান।

আরও পড়ুনঃ বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়াই কাল, চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন যুবককে

অন্যদিকে, দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর দিলীপ আগরওয়াল বলেন, ‘দলনেত্রীর সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিচ্ছি। আমার রাজনৈতিক উথ্থান এই জেলার কয়েক জন মেনে নিতে পারছিল না। তারাই আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে প্রার্থীপদ আটকেছে। মান অভিমান থেকেই নির্দল হিসেবে লড়াই করছি এবং জিতে আসবো। তবে, নাম না করে তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি। বলেন, ‘কয়েকজন এই জেলায় সংগঠনটাকে শেষ করে দিল’। তবে ভোটে জেতার পর যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে নেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

আরেক বহিষ্কৃত তৃণমূল নেত্রী অনন্যা রায় চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘এর আগেই আমরা দুশো জন পদত্যাগপত্র দলের জেলা সভাপতির কাছে জমা দিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার ‘আদর্শ’। তবে জেলা নেতৃত্ব আমাকে ‘যোগ্য মনে করেনি বলেই প্রার্থী করেনি’। তবে লড়াই লড়াইয়ের মতো হবে বলেই তিনি জানান।

শান্তিপুর পুরসভার দুটি ওয়ার্ডের তৃণমূলের পদাধিকারীদের দল থেকে বহিষ্কৃত করল তৃণমূল কংগ্রেস। শান্তিপুর পুরসভার পুরনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষনা হতেই ওই দুই পদাধিকারী তৃণমূল কর্মী শান্তিপুর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামল মাহাতো এবং এক নম্বর ওয়ার্ডের অমল মণ্ডল দল ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে জোড়া পাতা চিহ্নে দাঁড়ান। এরপর থেকেই তীব্র জল্পনা শুরু হয় দলের অন্দরে। বৃহস্পতিবার নদিয়ায় একটি সভায়, তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শিক্ষা মন্ত্রী ব্যর্থ বসুর উপস্থিতিতে শান্তিপুরের দুটি ওয়ার্ডের তৃণমূলের পদাধিকারী দুই তৃণমূল কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কৃত ঘোষণা করা হয়।