বিধানসভায় শূন্য, তবু আতঙ্কের নাম সিপিএম, দেখল কাঁকসা

0
61

খাস প্রতিবেদন: দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন৷ যেকোনও দিন আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের কথা ঘোষণা হতে পারে৷ সেকথা মাথায় রেখেই রাজ্যের গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ‘জনসংযোগে’ নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি৷ হাঁটি হাঁটি পা পা করে হারানো জমি পুনরুদ্ধারে নেমেছে সিপিএমও৷ কড়া নজর রাখছে শাসকদল তৃণমূলও৷ শনিবার তারই চাক্ষুষ প্রমাণ দেখলেন বর্ধমানের কাঁকসার ধোবারু গ্রামের বাসিন্দারা৷

শনিবার এলাকায় অনুষ্ঠিত হল শাসকদলের সভা৷ ঘটনার সূত্রপাত, গত ২ এপ্রিল এই গ্রামেই সভা করে গিয়েছিলেন সিপিএমের যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়৷ তারই পাল্টা হিসেবে এদিন গ্রামে সভার আয়োজন করে শাসকদল৷ তৃণমূলের অভিযোগ, সেই সভায় সিপিএম কর্মীরা এলাকার মানুষদের ভুল বুঝিয়ে গেছেন। তাই এলাকার মানুষের মধ্যে থেকে ভুল ধারণা দূর করতে আজ তারা এলাকার মানুষকে নিয়ে সভা করেন। এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য, কাঁকসার বিভিন্ন অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতিরা, কাঁকসা ব্লকের যুব সভাপতি কুলদীপ সরকার প্রমুখেরা৷

- Advertisement -

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদ সহ বিজেপি এবং সিপিআইএম যেভাবে গ্রামে-গঞ্জে সভা করে সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে এবং রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদ জানাতে তারা এই সভার আয়োজন করেছেন। এদিন সভা মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের যে সমস্ত উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি রয়েছে, সেই সমস্ত উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরেন শাসকদলের নেতা নেত্রীরা৷

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, তুলনামূলকভাবে এদিনের তুলনায় সেদিন সিপিএমের সভায় লোক বেশি হয়েছিল৷ সেই সূত্রেই অনেকে টিপ্পনি কেটে বলছেন, ‘বিধানসভায় শূন্য, তবু তৃণমূলের কাছে আজও আতঙ্কের নাম সিপিএম৷ তাই সিপিএম সভা করতেই ওরা ছুটে এসেছে কাঁকসায়!’

আরও পড়ুন: ১০০ দিনের শ্রমিকদের দিল্লি নিয়ে গিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি অভিষেকের