গম্ভীরায় মাতলেন মালদহের বাসিন্দারা

0
61

মালদহ: প্রাচীন লোক সংস্কৃতি গম্ভীরায় মেতে উঠলেন পুরাতন মালদহর বাচামারি এলাকার মানুষজন৷ শুক্রবার রাত থেকে এবারের গম্ভীরা উৎসব শুরু হয়েছে৷ ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবের অন্যতম একটি ধারা মুখা নৃত্য৷ আজ ভোরে সেই নৃত্যের তালে পা মিলিয়েই শুরু হল এই উৎসব৷ চলবে টানা একমাস ধরে অর্থাৎ সমগ্র বৈশাখ মাস ধরে৷

আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু মেদিনীপুরের সিপিএম নেতার

- Advertisement -

গ্রামবাসীরা জানান, গম্ভীরা হল শিবের আরাধনা৷ তার অন্যতম অংশ চামুণ্ডা মুখা নৃত্য৷ প্রতি বছর বৈশাখের দ্বিতীয় দিন রাতে মশাল নাচের মাধ্যমে এই উৎসবের সূচনা হয়৷ সূচনা উৎসব শেষ হয় চামুণ্ডা মুখা নৃত্যের মাধ্যমে৷ কালের নিয়মে এই লোক সংস্কৃতির অনেক ধারা বিলুপ্তপ্রায়৷ তার মধ্যেও গম্ভীরার প্রাচীন প্রথাকে বাঁচিয়ে রেখেছে পুরাতন মালদহ ব্লকের বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা৷ বাচামারি তার মধ্যে অন্যতম৷

শনিবার ভোরে বাচামারি এলাকায় সেই মুখোশ নৃত্যে মেতে উঠেছিল আট থেকে আশি৷ এলাকার মানুষজন মনে করেন, এদিন মা চামুণ্ডার দুই রূপ, বুড়ি কালী ও চামুণ্ডা কালীর মিলনের দিন৷ পাশাপাশি দুই পাড়ায় থাকা দুই বোনের মন্দিরই এদিন সকাল থেকে ছিল সরগরম৷ দুই বোনের মিলন উৎসবের সাক্ষী হতে স্থানীয় মানুষজনের পাশাপাড়ি ভিড় করেছিলেন দূর থেকে আসা অনেকেও৷

এলাকার বাসিন্দা পঙ্কজ সরকার বলেন, বহুকাল আগে থেকেই বছরের এই দিনটিতে বুড়ি কালী ও চামুণ্ডা কালীর মিলন হয়ে আসছে৷ কোনও এক সময় দুই বোনের মুখোশই মহানন্দা থেকে উদ্ধার হয়েছিল৷ দেবীর আদেশেই বৈশাখের এই দিনটিতে দুই বোনের পুজো হয়ে থাকে৷ কবে থেকে এই পুজো হয়ে আসছে, তা জানা নেই৷ তবে পিতৃপুরুষদের মুখে শুনেছি, এই পুজো অন্তত সাড়ে চারশো বছর ধরে হয়ে আসছে৷