দরজা খুলবেন না, মফঃস্বলের বধূদের বাড়তি সাবধানতার পরামর্শ পুলিশের

0
148

বাঁকুড়া: রঘু ডাকাতের জমানা এখন ব্যাকডেটেড৷ অপরাধের ধরণ বদলাচ্ছে অপরাধীরা৷ বিক্রেতা সেজে ঘরে ঢুকে ঘর খালি করার ঘটনাও সামনে আসছে৷ বিশেষত, সোনার গহনা ও কাঁসার বাসন৷ যা মহিলাদের অন্যতম প্রিয় জিনিস৷ সেই সোনার গহনা ও কাঁসার বাসনকে ‘চকচকে’ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে ঢুকে সেসব নিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ আসছিল৷ অবশেষে ওই ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপরই সাংবাদিক বৈঠক থেকে ঘটনার বিবৃতি দিতে গিয়ে গ্রীষ্মের দুপুরে গেরস্থ ঘরের বধূদের বাড়তি সাবধানতার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশের কর্তারা৷

ঘটনাস্থল, বাঁকুড়া৷ চকচকে করে দেওয়ার এই নয়া প্রতারণা কাণ্ডের তদন্তে নেমে সম্প্রতি দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতরা হলেন রোহিত কুমার শ ও মিথিলেশ কুমার শ। দু’জনের বাড়ি যথাক্রমে পশ্চিম বর্ধমান জেলার জামুড়িয়া থানা এলাকায় ও বিহারের পূর্ণিয়া জেলা এলাকায়। শুক্রবার তালডাংরা থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এই খবর জানিয়ে খাতড়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সোনার গহনা ও কাঁসার বাসন ‘চকচকে’ করে দেওয়ার নামে তা নিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ আসছিল। এরপরই জনসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি নাকা চেকিং শুরু হয়।’’

- Advertisement -

গত ২১ মার্চ বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কের উপর তালডাংরার শিবডাঙ্গা মোড়, বটতলাতে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার হয়। পরে টানা পুলিশি জেরায় ওই দুই আটক ব্যক্তি তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি৷ চক্রের বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে খাতড়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন, ‘‘গেরস্থ বাড়ির বয়স্কা বৃদ্ধা ও বাড়িতে একা থাকা মহিলারাই এই দুষ্কৃতি চক্রের অন্যতম প্রধান টার্গেট থাকে৷ তাই তাঁদের উদ্দেশে বলছি, বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করুন৷ সোনা বা তামার জিনিস চকচকে করতে হলে দোকানে গিয়ে করান, কিন্তু ভর দুপুরে এই ধরণের বিক্রেতাবেশী প্রতারকদের বাড়িতে ঢুকতে দেবেন না৷’’

আরও পড়ুন: শুভেন্দু কি সত্যিই বীর, নারদ কাণ্ড সামনে রেখে বড় প্রশ্ন কুণাল ঘোষের