দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট ভেঙে বিপত্তি, পানীয় জলের সঙ্কট বাঁকুড়ায়

0
103

তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া: বছর তিনেক পর ফের শনিবার ভোরেই দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩১ নম্বর লকগেট ভেঙে পড়েছে। আর তার জেরেই তীব্র জলসংকটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাঁকুড়ার ধবনী গ্রামে। কারণ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তৈরি প্রকল্পে পাইপ লাইনের মাধ্যমে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে বাঁকুড়া শহর সহ ধবনী গ্রামে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়।

এদিন ভোরে লকগেট ভেঙ্গে পড়ায় আপাতত জলসরবরাহ বন্ধ। ফলে চরম সমস্যায় ওই গ্রামের মানুষ। এই অবস্থায় গ্রামবাসীরা প্রশাসনের কাছে বিকল্প উপায়ে জলসরবরাহের দাবি জানিয়েছেন। গ্রামবাসী সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যারেজের লকগেট ভেঙ্গে যাওয়ার পিছনে ‘প্রশাসনিক উদাসীনতা দায়ী’ দাবি করে জানান, শনিবার থেকেই জল সরবরাহ বন্ধ। যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে তাতে গ্রামে জলসংকট দেখা দিয়েছে৷

- Advertisement -

গৃহবধূ চুমকি বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, চরম জলসংকটের মধ্যে পড়েছি। গ্রামে একটিমাত্র টিউবওয়েল তার উপরেই সবাই নির্ভরশীল। এভাবে চলতে থাকলে চরম সমস্যায় তারা পড়বেন। এই অবস্থায় দ্রুততার সঙ্গে বিকল্প পদ্ধতিতে পানীয় জল সরবরাহ করার দাবিও তিনি জানান।

বিজেপির রাঢ় বঙ্গ জোন কনভেনর পার্থ কুণ্ডু এই লক গেট ভেঙ্গে যাওয়ার পিছনে ‘রাজ্য সরকারের উদাসীনতা ও গাফিলতি’ রয়েছে বলে দাবি করেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ঠিকাদার আর কাটমানি রাজ চলছে, আর যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে ফল ভোগ করতে হচ্ছে বলে তার দাবি।

রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা জানান, দুর্গাপুর ব্যারেজের লক গেট ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে সব জল ছেড়ে দিতে হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ওই ব্যারেজ থেকেই জলসরবরাহ করে। এরপরেই সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে করজোড়ে তিনি বলেন, চলতি পরিস্থিতির কারণে সাময়িক জলসরবরাহে ঘাটতি হবে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ চলছে যাতে দ্রুততার সঙ্গে জলসরবরাহ স্বাভাবিক করা যায় বলে তিনি জানান।