মুখ্যমন্ত্রীর সভায় পড়ুয়াদের পাতে নষ্ট বিরিয়ানি, অভিযোগ, সভার মাঝেই ব্যবস্থা নিলেন মমতা

এদিন ১ হাজার ২৫০ প্যাকেট বিরিয়ানি  অর্ডার করা হয়েছিল

0
63
biryani

শিলিগুড়িঃ মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে নষ্ট বিরিয়ানি (biryani)। আর তা খেয়েই অসুস্থ একাধিক পড়ুয়া। এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এল শিলিগুড়িতে।  মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে বেনিফিশিয়ারি পড়ুয়াদের মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল থেকে সবুজ সাথী সাইকেল দেওয়ার কথা ছিল। তাই পড়ুয়াদের মধ্যাহ্নভোজের আয়োজনে বিরিয়ানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিল  অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতর। অভিযোগ সেই বিরিয়ানি ছিল  টক, খাওয়ার অযোগ্য। বিরিয়ানি খেয়ে রীতিমত বমি করতে শুরু করে কিছু পড়ুয়া।

আরও পড়ুয়া :অশান্তি ঠেকাতে জোর প্রস্তুতি, জেলা সফরে মুখ্য নির্বাচনী অফিসার কিরণ গিত্যে

- Advertisement -

ডিম ভাত ছেড়ে বিরিয়ানি। আলুমাখা বিরিয়ানির সুবাস আগেও মুখ্যমন্ত্রীর বেশ কিছু অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। আর তাই পাত পেড়ে খেয়েছেন শাসকদলের কর্মী সমর্থকরা। এবার শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলে বিরিয়ানির আয়োজন করা হয়। তবে নিজের দলের কর্মী সমর্থকদের জন্য নয়। ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়াদের জন্য। খাওয়াদাওয়া সেরেই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যেতে হবে। এমনটাই নির্দেশ ছিল বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য। সেইমত সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোতে দুপুরের খাবার পৌঁছে যায় প্রশাসনিক উদ্যোগে। কিন্তু শিলিগুড়ি বয়েজ় হাই স্কুলে দুপুরের খাবার পৌঁছতেই শোরগোল শুরু হয়। অভিযোগ টক হয়ে গিয়েছিল সেই বিরিয়ানি। যা খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। এই ঘটনায় অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেজায় ক্ষুব্ধ।

আরও পড়ুন :এবার কি মধুচন্দ্রিমায় পাড়ি Sid-kiara’র, এয়ারপোর্টে ক্যামেরাবন্দি নবদম্পতি

জানা গেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে  পড়ুয়াদের জন্য সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতর থেকে ১ হাজার ২৫০ প্যাকেট বিরিয়ানি (biryani) অর্ডার করা হয়েছিল। নষ্ট বিরিয়ানি প্রসঙ্গে বিরিয়ানির দোকানের মালিক জানান,  “সোমবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে ১২৫০ প্যাকেট বিরিয়ানি দেওয়ার অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো অর্ডার ডেলিভারি করা হয়েছে। সেই বিরিয়ানি যদি পরের দিন দুপুরবেলা খাওয়ানো হয়। তাহলে তো সেটা নষ্ট হয়ে যাবে।“  যদি বিরিয়ানির দোকানের মালিকের কথা সত্যি বলে ধরে নেওয়া হয় তাহলে দেখা যাচ্ছে  বিরিয়ানি রান্না হওয়ার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর তা পড়ুয়াদের হাতে যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসনের পক্ষে এতটা উদাসীন হওয়া কী করে সম্ভব? যদিও বিষয়টি কানে যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) । তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন তিনি।  তিনি সভার মাঝখানেই হঠাৎ পড়ুয়াদের উদ্দেশে বলে ওঠেন, ‘‘খিদে পেয়েছে?’’ মঞ্চের সামনের দিকে বসে থাকা পড়ুয়ারা একযোগে বলে ওঠে ‘‘হ্যাঁ।’’ তখনই তাদের খাবারের প্যাকেট দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চের পেছনের সারিতে বসে থাকা দার্জিলিঙের জেলাশাসক ছুটে যান খাবারের বন্দোবস্ত করতে।