নদিয়া: সপ্তাহের প্রথম দিনই শিয়ালদহ মেইন লাইনে রেল অবরোধ। ভোরের ট্রেন চালু করার দাবিতে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ হকারদের। সোমবার সকাল ৬টা থেকে অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলে এই বিক্ষোভ। ফলে আংশিক ব্যাহত হয় রেল পরিষেবা। ঘটনাটি নদিয়ার কল্যানী সীমান্ত রেল স্টেশনের।
আরও পড়ুনঃ BJP নয় কংগ্রেস শাসনের অধীনে দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার তালিকা দীর্ঘ, বিরোধীদের পাল্টা জবাব নাড্ডার
লকডাউনের আগে নদিয়ার কল্যাণী সীমান্ত স্টেশন থেকে ভোর পাঁচটায় একটি ট্রেন শিয়ালদহের উদ্দেশ্যে রওনা দিত। কিন্তু করোনার কারণে বহু ট্রেন বাতিল করা হয় যার মধ্যে এটি ছিল একটি ট্রেন। বর্তমানে, করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমার ফলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে ট্রেনের সংখ্যা। কিন্তু, অভিযোগ, ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হলেও সীমান্তের ভোর পাঁচটার ট্রেনটি এখনও চালু করা হয়নি।
আরও পড়ুনঃ হবু জামাইয়ের সামনেই নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ২
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ভোর ৫টা ২ মিনিটের ডাউন কল্যাণী সীমান্ত-শিয়ালদহ লোকাল চালু করতে হবে। লকডাউনের পর থেকে এই ট্রেন বন্ধ রয়েছে। তাঁদের যুক্তি, ৬টার প্রথম টেনে কাজে যেতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। তাই ভোরের ট্রেন চালু করার দাবিতেই সোমবার সকাল ৬টা থেকে রেল অবরোধ করেন হকারদের একাংশ। রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অবশেষে ট্রেন চলার আশ্বাস মিলে অবরোধ তুলে নেয় হকাররা।
কল্যাণী সীমান্ত রেলস্টেশন অবরোধকারী এক হকার বলেন, ‘সীমান্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় চর জাজিরা চর যাত্রাসিদ্ধি থেকে শুরু করে তালতলা এলাকার বহু হকার রয়েছেন যারা মুড়ি কলা এবং বিভিন্ন কাঁচামাল নিয়ে ভোরের ট্রেন ধরে শিয়ালদহ যায়। সেখানে গিয়ে পাইকারি এবং খুচরা বিক্রি করে বাড়ি আসে। সীমান্ত এগারোটায় জেএসএস ট্রেনটি ছাড়া হয় সেটি নৈহাটি গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে পুনরায় আর এই স্টেশনে আসেনা। সেই কারণে আমরা যারা হকার তারা বিভিন্ন সমস্যায় পড়েছি।’ তিনি আরও বলেন, আমরা কারও অসুবিধা করে রেল অবরোধ করতে চাই না। এর আগেও একাধিকবার রেলদফতরকে জানানো হয়েছে, কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা রেল অবরোধে সামিল হয়েছি।’
