Medical negligence: বেডে পেটের যন্ত্রণায় ছটকাচ্ছে রোগী, তবু মোবাইলেই মগ্ন নার্সরা…

0
45

বারুইপুর: কেউ ব্যস্ত ছিলেন মোবাইলে গেম খেলতে, আবার কেউ ব্যস্ত কথা বলতে। রোগী দেখার সময় তাঁদের নেই। বারংবার ডেকেও সাড়া মিলছে না কর্তব্যরত নার্সদের। ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল হাসপাতালের নার্স- চিকিৎসকদের ভূমিকা। এবার বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠল। চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা।

আরও পড়ুনঃ Arrest: গভীর রাতে কানে এল দোকানের শাটার ভাঙার শব্দ, পাকড়াও তিন চোর

- Advertisement -

বারংবার চিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগে মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। তারপরেও হুঁশ ফেরেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে পেটের যন্ত্রণা নিয়ে বছর ছাব্বিশের জবেদা বিবিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু বারংবার ডাকা সত্ত্বেও দীর্ঘক্ষণ কোনও চিকিৎসক তাঁকে দেখতে আসেননি। অভিযোগ, রোগীর পেটের যন্ত্রণা হওয়ায় একাধিকবার নার্সদের ডাকা হচ্ছিল। কিন্তু তাঁরা কেউ আসেনি। যন্ত্রণা সহ্য করতে করতেই আস্তে আস্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রোগী। এরপরই রোগীর পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

আরও পড়ুনঃChild Adoption Centre: হোমের আড়ালে চলত শিশু নির্যাতন, গ্রেফতার ডেপুটি মেয়রের ছেলে

রোগীর পরিবারের বয়ান অনুযায়ী, অনেক ডাকাডাকিতে এক জন চিকিত্সক এসে জবেদাকে দেখে যান। কিন্তু তারপর তিনি নার্সদের কিছু পরিষেবা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই কাজগুলি সাধারণ হাসপাতালে নার্সরাই করে থাকেন। অভিযোগ, কর্তব্যরত নার্সরা কোনওভাবেই রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে তৎপর হননি। তাঁরা র্তব্যরত অবস্থাতেই ব্যস্ত ছিলেন মোবাইলে গেম খেলতে। আবার কেউ কথা বলছিলেন ফোনে।

রোগীর এক আত্মীয়র কথায়,“আমরা চিকিত্সককে ডাকি, তিনি তখন বলেন, আপনার কি একারই এমার্জেন্সি? আমার আরও এমার্জেন্সি কেস আছে। আধ ঘণ্টা পর এসে চিকিত্সক ইঞ্জেকশন লিখে দেন। কিন্তু নার্সদের ডাকতে ডাকতেই আরও সময় গেল। নার্সরা মোবাইলে কথা বলছিলেন। যতক্ষণে ইঞ্জেকশন দিলেন, ততক্ষণে আমার দিদি আর নেই।”

সোমবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বারুইপুর থানার বিশাল বাহিনী। রোগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেয়।