
হাওড়া: হোমের আড়ালে শিশু বিক্রি। হোমকাণ্ডে এবার নয়া মোড়। গ্রেফতার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়রের ছেলেও। হাওড়া সিটি পুলিশ সুমিত অধিকারী নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়।
আরও পড়ুনঃ Arrest: গভীর রাতে কানে এল দোকানের শাটার ভাঙার শব্দ, পাকড়াও তিন চোর
করুণা ওমেন অ্যান্ড চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে এই হোমটি ২৩৪ নম্বর শ্রীরাম ঢ্যাং রোডে অবস্থিত। হাওড়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে হোমটি রয়েছে। এই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মিনতি অধিকারী। পাশাপাশি, তিনি হাওড়া পুরনিগমের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়রও। হোম চালাতেন হাওড়া পুরনিগমের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মিনতি অধিকারীর পুত্র সুমিত অধিকারী ও তাঁর পুত্রবধূ গীতশ্রী অধিকারী। দিন দশেক আগে এই হোমের বিরুদ্ধেই শিশু বিক্রির সহ শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনেরও অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুনঃ Death: জগন্নাথ ধামে গিয়ে রহস্যমৃত্যু কলকাতা পুলিশের
হোমটির খবর পাওয়ার পরই দফায়-দফায় চলে পুলিশি হানা। সঙ্গে চলে ধড়পাকড়। তদন্তে নামেন শিশুকল্যাণ দফতরের আধিকারিক ও হাওড়া সিটি পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। গত ২০ নভেম্বর রাতেই হোমটি সিল করে দেয় হাওড়া সিটি পুলিশ। এখান থেকে বেশ কয়েকজন শিশুকে উদ্ধারও করা হয় বলে সূত্রের খবর। এরপরই প্রাক্তন ডেপুটি মেয়রের পুত্রবধূ গীতশ্রী অধিকারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক সহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ১০ জনকে আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন সুমিত অধিকারী। তার খোঁজে চলছিল পুলিশি তল্লাশি। সোমবার রাতে হাওড়া সিটি পুলিশ সুমিত অধিকারীকে গ্রেফতার করে এবং আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে পুলিশ মুখ না খুললেও আরও বেশ কিছু নয়া তথ্য যে এই ঘটনায় পুলিশের হাতে উঠে এসেছে, তেমনটাই জানা যাচ্ছে।
এদিকে এই ঘটনায় নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, “এই রকম ঘটনার সঙ্গে যদি কেউ যুক্ত থাকেন তবে অবশ্য়ই যথাযথ ব্যবস্থা হবে। আইন আইনের পথেই চলবে। নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা।”
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, হঠাৎই ঘটনার দিন রাতে তাঁরা দেখেন শিশু হোমের সামনে অনেক পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি প্রাইভেট গাড়িও রাখা ছিল। পুলিশের এক জন কর্তা এসে বাচ্চাগুলিকে অন্য একটি গাড়িতে তুলছিলেন। তবে ঠিক কী কারণে করছিলেন তা তাঁরা বুঝতে পারেননি। এরপরই ধীরে ধীরে আসল ঘটনা সামনে আসে। ওই ব্যক্তি আরও বলেন, এই হোমটি প্রায় আট থেকে দশ বছর ধরে চলছিল।