সন্তানকে পোলিও খাওয়াতে অভিনব উদ্যোগ ‘স্বাস্থ্য সচেতন’ বাবার

0
93

খাস খবর ডেস্ক: নিম্নচাপের জেরে লাগাতার বৃষ্টি। জলমগ্ন কলকাতা ও শহরতলীর একাংশ। কোথাও হাঁটু সমান জল৷ আবার কোথাও ডুবেছে কোমর। এই কোমর সমান জলে নেমেই সন্তানকে পোলিও খাওয়াতে নিয়ে গেলেন বাবা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ২ নম্বর ব্লক এলাকার ঘটনা।

আরও পড়ুনঃ মা হওয়ার খবর পেয়ে কি কোনও মেয়ে মরে, বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে উঠে আসছে খুনের তত্ত্ব

- Advertisement -

বৃষ্টির ফলে ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের সারেঙ্গাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিংহেশ্বর সাবসেন্টারেও জল থৈ থৈ অবস্থা৷ ঘর বন্দী রয়েছে এলাকার মানুষ৷ এই অবস্থায় রবিবার ছিল পালস পোলিও টিকা৷ সকাল থেকেই বেড়িয়ে পড়েছিলেন ‘আশা দিদি’রা৷ সব ব্যবস্থাই তো হল। কিন্তু এই কোমর সমান জলের মধ্যে সদ্যজাত সন্তানকে পোলিও খাওয়াতে নিয়ে যাবেন কি করে। তৎক্ষণাৎ উপায়ও বার করে ফেললেন সদ্য বাবা হওয়া নিজামুদ্দিন মোল্লা।

আরও পড়ুনঃ  খটখটে আকাশ, বৃষ্টির দেখা নেই : তবু জলের তলায় চলে গেল নিউটাউনের আস্ত গ্রামটা

বড় মুখ ওয়ালা হাড়ির মধ্যে সন্তানকে শুইয়ে ভাসিয়ে পোলিও খাওয়াতে নিয়ে আসেন তিনি৷ তাঁর এক সঙ্গীর কাঁধে বসিয়ে নিয়ে আসেন আড়াই বছরের ছেলে শামিমকেও। তিনি বলেন, যতই জল থাকুক বাচ্চা দুটোকে তো পোলিও খাওয়াতেই হবে৷ তাই এ ভাবেই ওদের নিয়ে এলাম৷ তবে নবজাতককে এ ভাবে হাড়ির মধ্যে শুইয়ে পোলিও খাওয়াতে নিয়ে আসতে দেখে হতবাক হয়েছেন আশার দিদিরাও৷ চমকে গিয়েছেন এএনএম (২)এর সদস্যরাও৷

গতকাল হাঁটুজল পেরিয়েই বাচ্চাদের পোলিও খাওয়াতে পৌঁছে গিয়েছিলেন আশাকর্মী সোনালি প্রধান এবং এএনএম (২) নমিতা হালদার। তাঁরা মূল রাস্তায় দাঁড়িয়েই হাঁক দিয়েছিলেন পোলিও খাওয়ানোর জন্য৷ কিন্তু যেখানে নিজামুদ্দিনের বাড়ি, সেই মাটির রাস্তায় প্রায় কোমর সমান জল৷ আর নিজামুদ্দিনের বাড়ির সামনে জল উঠছে বুক সমান৷ তাই পোলিওর বাক্স নিয়ে বেশি দূর এগিয়ে যাওয়ার সাহস করেননি সোনালি ও নমিতা৷ এই অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে আসেন নিজামুদ্দিনই৷