Elephant: সাতসকালে দলমার দাঁতালের উপদ্রব, আতঙ্কে বাঁকুড়াবাসী

0
95

বাঁকুড়া: লাল মাটির জেলা বাঁকুড়া। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই বাঁকুড়ার একটা বড় অংশের মানুষে কাছে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলমার দাঁতালের উপদ্রব। ‘হাতি’ যেন এখন বাঁকুড়াবাসীর অন্যতম বড় মাথা ব্যথার কারণ। রীতিমত দিশেহারা বাঁকুড়ার গ্রামবাসীরা। একইসঙ্গে গত কয়েক বছরে পরিযায়ী হাতিদের আনাগোনার সংখ্যা বেড়েছে জেলায়।

জানা গিয়েছে, এদিন সাত সকালে একটি দলছুট হাতি দাপিয়ে বেড়াল বাঁকুড়ার অন্যতম প্রাচীণ পুর শহর সোনামুখীর অলিগলিতে। সোমবার সকালে সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাড়ির সামনে বিশালাকার গজরাজকে দেখে আতঙ্কিত শহরবাসী। এদিন ওই হাতিটি সোনামুখী রেঞ্জের ইন্দকাটা বিট থেকে বেরিয়ে শহরের শ্যামবাজার, রুদ্রপাড়া এলাকায় ঢুকে পড়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

- Advertisement -

আরও পড়ুন-Covid 19: স্কুলে এবার করোনার হানা, আক্রান্ত ২৫ জন ছাত্রী 

তবে হাতির আক্রমণা বড় ধরণের কোন ক্ষতির খবর নেই। যদিও অন্যদিকে, রাতের অন্ধকারে সোনামুখীরই রাধামোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সমাজপতি পাড়া গ্রামে ঐ হাতিটি ঢুকে বেশ কয়েক বিঘা আলুর ক্ষতি করেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, হাতির আক্রমণে দিশেহারা বাঁকুড়ার একটা বড় অংশের বাসিন্দারা। সেই সঙ্গে দাঁতালে উপদ্রবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে জয়পুর, কোতুলপুর, বিষ্ণুপুরের জঙ্গল লাগোয়া অঞ্চলের মানুষজনের মধ্যে। পাশাপাশি জেলার উত্তর বন বিভাগের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল হাতির অবাধ বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন ওই সব এলাকার জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের মানুষ। এখানেই শেষ নয়, বরং হাতির দাপটে নষ্ট হচ্ছে ফসল। জমির ফসল নষ্ট করার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিপুল পরিমাণে। সেই সঙ্গে হাতির হানায় মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বেশ চিন্তায় রয়েছে বন দফতরও।

আরও পড়ুন-Accident: হাঁসখালিতে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা, মৃত্যু ১৮ জনের, আহত আরও ৫

হাতির হানার বিষয়ে এরআগে বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের বনাধিকারিক কল্যাণ রাই বলেছিলেন, “আমরা ২৪ ঘন্টা নজরদারি রেখেছি। মাঠে পাকা ধান থাকলেও সেই ধান যাতে হাতি ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। ইতিমধ্যে সমস্ত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে । এরপরেও কেউ বাকি থাকলে তারাও দ্রুত ক্ষতিপূরণের অর্থ পাবেন।”