বাঁকুড়া: একদিকে করোনা মহামারি, অন্যদিকে রাজ্য জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বৃষ্টি। এর মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে ডায়েরিয়ায় আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া হয়ে উঠেছে ডায়েরিয়ার আতুরঘর। ফের নতুন করে বাঁকুড়া শহরের ৪ নম্বর ময়রাবাঁধ-হাঁড়িপাড়ার পর এবার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর দুবেরবাঁধ এলাকায় দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ।
আরও পড়ুনঃ Trekking: খোঁজ মিলল উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিং করতে যাওয়া সদস্যদের, স্বস্তির ছায়া পরিবারে
পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে পতিস্থিতি সামল দিতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্য কর্মীরা। প্রতি মুহূর্তে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিজয়া দশমীর পর দিন থেকে পাতলা পায়খানা, বমি সহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে চার জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এদের মধ্যে দু’জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও নতুন করে আক্রান্ত আরও বেশ কয়েকজন।
আরও পড়ুনঃ Love marriage: শখ ছিল দামি মোবাইলের, স্ত্রীকে বিক্রি করেই শখ পূরণ নাবালকের
হাসপাতাল সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাওয়ার মতো অবস্থা। এরপর যদি আরও রোগী আসে তাহলে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে চিন্তায় ডাক্তার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য কর্মীরা।
অন্যদিকে কীভাবে এলাকাতে ভয়ঙ্কর ভাবে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ল তা নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার এলাকায় পৌঁছায় পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। তাঁরা এলাকার মানুষের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার কাজ শুরু করেছেন। একই সঙ্গে এলাকা পরিদর্শণে যান প্রাক্তন বিধায়ক শম্পা দরিপা। তিনিও আক্রান্ত পরিবার গুলির সঙ্গে কথা বলেন।
পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের সদস্যদের প্রাথমিক অনুমান, সম্ভবত এলাকার পুকুরের জল থেকেই ডায়রিয়ার সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে। জলের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তবে যতক্ষণ না জলের নমুনা পরীক্ষা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ততক্ষণ পুরসভার জল না খাওয়ার কথা জানানো হয়েছে।